টেলিস্কোপে মিলবে কলকাতা-হাওড়া ও হুগলির স্কাইভিউ
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
হাওড়া স্টেশনে ট্রেনে করে ঢোকা বেরোনোর মুখে পশ্চিম দিকে তাকালেই চোখে পড়বে একটা বিশাল উঁচু টাওয়ার। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার সময় থেকেই কেউ ভেবেছিলেন ওটা একটা জলের ট্যাংক, কেউবা বলেছিলেন ওটা ওয়াচ টাওয়ার। আসলে ওটা কি? আর টাওয়ারটির উচ্চতাই বা কত?
আপনাদের জানিয়ে রাখি হাওড়ার বেলিলিয়াস পার্কে বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি হওয়া এই টাওয়ারটাই দেশের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার। নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হলে মুম্বইয়ের উঁচু টাওয়ারগুলোকে পিছনে তো ফেলবেই টাওয়ারটি দিল্লির কুতুব মিনারকেও নিচে নামিয়ে দেবে। বেলিলিয়াস পার্কের এই টাওয়ারটির নাম ‘পঞ্চদীপ টাওয়ার। যার উচ্চতা ১২০ মিটার অর্থাৎ
কুতুব মিনার যার উচ্চতা ৭২ মিটার, তার থেকে এই টাওয়ারটি আরো ৪৮ মিটার উঁচু। কিন্তু মূল আগ্রহের জায়গাটি এটাই যে আসলে এই টাওয়ারটি কি জন্য তৈরি হয়েছে?
জেনে রাখুন, এই টাওয়ারের উপরে একটি ঘূর্ণায়মান রেস্তোরাঁ থাকবে, যেখান থেকে হাওড়া, হুগলি ও কলকাতার দৃশ্য দেখা যাবে।
পর্যটকদের জন্য এখানে টেলিস্কোপের ব্যবস্থাও থাকবে। একসঙ্গে প্রায় ৪০০ জন মানুষ টাওয়ারে উঠতে পারবেন। টাওয়ারে ওঠার জন্য দুটি অত্যাধুনিক লিফট থাকবে, যেগুলোতে ৩২ জন একসঙ্গে উঠতে পারবেন।লিফটে করে মাত্র ৪০ সেকেন্ডে টাওয়ারের মাথায় থাকা রেস্তোরায় পৌঁছনো যাবে। প্রসঙ্গত, হাওড়া বেলিলিয়াস পার্কের উন্নতি সাধনের জন্য বেসরকারি একটি সংস্থাকে দীর্ঘমেয়াদী লিজ দেয় হাওড়া পুরনিগম। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পার্টি কোন উন্নয়ন দূরে থাক আগাছা ও জংলায় ভরে দুর্দশা গ্রস্থ অবস্থা হয় বেলিলিয়াস পার্কের। এ নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছিল। যেহেতু পার্টি বেসরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে ছিল তাই দায় নিতে চাইনি হাওড়া পুর কর্তৃপক্ষ। অবশেষে বছর খানেক আগে পরিস্থিতির বদল হয় এবং ধীরে ধীরে এই টাওয়ারটি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে থাকে। আপাতত নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে এই পঞ্চদীপ টাওয়ার হবে দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি হওয়া সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার। যার মাথায় জোরে রেস্তোরাঁর খাবার খেয়ে টেলিস্কোপের মাধ্যমে কলকাতা-হাওড়া ও হুগলির মনোরম স্কাইভিউ উপভোগ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।