অভিজিৎ বসু
বাংলায় চাকরি বাতিল ইস্যুতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে বলেন যে, এই বিষয়ে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘটনায় বঞ্চিত যোগ্যদের পাশে দাঁড়িয়ে এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। দেড় পাতার চিঠিতে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি জানান তিনি। কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্য, ন্যায্য পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রার্থীদের চাকরি বহাল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। চিঠিতে তিনি লেখেন আদালত নিয়োগ বাতিল করায় পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার শিক্ষিত স্কুল শিক্ষকেরা রাতারাতি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ‘শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চে’র প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে আপনার কাছে চিঠি লিখতে অনুরোধ করেন আমাকে।” কলকাতা হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করে রাহুল জানান, শীর্ষ আদালত গোটা প্যানেল বাতিল করায় অযোগ্যদের পাশাপাশি যোগ্যরাও চাকরি হারিয়েছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া অযোগ্যদের চাকরি বাতিল হওয়াই উচিত, কিন্তু সুপ্রিম রায়ে চরম অবিচার হয়েছে যোগ্যদের সঙ্গে।
রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে রাহুল জানিয়েছেন, আজ চাকরিহারা শিক্ষকরা এক দশকের বেশি সময় শিক্ষকতা করেছেন। তাঁদের ছাঁটাইয়ের ফলে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া অসহায় পরিস্থিতিতে পড়েছে। অন্যদিকে এভাবে কাজ হারানোয় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন শিক্ষকরা। হঠাৎ কর্মহীন হওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছে তাঁদের পরিবারও। রাহুল লিখেছেন, “ম্যাডাম, আপনি এক সময় শিক্ষকতা করেছেন। আমার বিশ্বাস যোগ্য শিক্ষক, তাঁদের পরিবার এবং পড়ুয়াদের উপর এই মানবিক অবিচারকে আপনি অনুভব করবেন। আপনার কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে এদের পাশে দাঁড়ান এবং সরকারকে নির্দেশ দিন যাতে করে যোগ্যদের চাকরি বহাল থাকে।” উল্লেখ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাহুল গান্ধীর এই চিঠি কি তাহলে কংগ্রেস ও তৃণমূলকে কিছুটা এই শিক্ষকদের ইস্যুতে কাছে এনে দিলো। সেটাই এখন দেখার বিষয়। দুরে থাকা কংগ্রেস আর তৃণমূল এখন এই যোগ্য চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে কিছুটা হলেও নিজেদের দূরত্ব ঘোচাতে চাইছে।