নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা যেন কোনোভাবেই পিছু ছাড়তে চাইছে না রাজ্যের। এবার রাজ্যের তৈরি করা সুপারনিউমেরারি পোস্ট নিয়ে শীর্ষ আদালতে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে চলেছে আজ মঙ্গলবার। কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলাই রাজ্যের মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্তে নির্দেশ দেয়। মামলার শুনানি হবে আজ প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতি মঙ্গলবারে শুনানিতে কি বলেন, সে দিকেই তাকিয়ে আপামর রাজ্যবাসী।
সদ্য প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে, বাতিল হয়ে গিয়েছে এই রাজ্যের ২৫,৫৭২ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি। সুপ্রিম কোর্ট পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে। সেই কারণে আইনজীবী মহল মনে করছে, এই দিনের শুনানি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
উল্লেখ্য, নবম দশমে শিক্ষকদের জন্য ১৯৩২, একাদশ দ্বাদশের শিক্ষকদের জন্য ২৪৭, গ্রুপ সি-র জন্য ১১০২, গ্রুপ ডি-র জন্য ১৯৮০, শারীরশিক্ষার জন্য ৮৫০ ও কর্মশিক্ষার জন্য ৭৫০টি পদ তৈরি করা হয়েছিল।
২০২২ সালের মে মাসে,মন্ত্রিসভা প্রায় ৬ হাজার সুপারনিউমেরারি পোস্ট বা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে। তার আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেশ কিছু চাকরি-বাতিলের নির্দেশ দেন। তারপরেই তৈরি হয় ওই পদ যা মন্ত্রী সভায় অনুমোদন পায়। এই পদ মূলত তৈরি করা হয়েছিল ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার জন্য।
হাইকোর্টে সেই পদ নিয়ে মামলা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে ডিভিশন বেঞ্চে যায় মামলা। সুপারনিউমেরারি পদ তৈরির সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি বলে রায় দেয়া হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আরোও নির্দেশ দেয় যে, প্রয়োজনে মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। পরে আবারো সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনবেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
।
