বর্তমানে বাংলার রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে একটাই খবর ঘুরপাক খাচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ার পর যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা ইতিমধ্যেই পথে নেমেছেন। কিন্তু যোগ্য কারা আর অযোগ্য কারা সেই পার্থক্য কিভাবে করা হবে? কিভাবে বাছাই করা হবে চাল থেকে কাঁকড়? নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে OMR শিট। এতকিছুর পরেও যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের আশার আলো দেখাচ্ছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হার্ডডিস্কের মধ্যেই লুকিয়ে আসল ‘প্রাণ ভ্রমরা’, বলছেন তিনি।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, “সিবিআই যে মাদার ডিস্ক উদ্ধার করেছে তা SSC-র কাছে আছে। সম্ভবত সুপ্রিম কোর্টের কাছেও আছে। তো সেটা এসএসসি প্রকাশ করুক। তাহলেই তো OMR শিট পাবলিশ হয়ে যাবে। আর OMR শিট পাবলিশ হলে বোঝা যাবে কে সাদা খাতা জমা দিয়েছে, কে ভুল উত্তর দিয়ে ঠিক নম্বর পাওয়া, আর কারা সত্যিকারের পরীক্ষা দিয়ে উপযুক্ত নম্বর পেয়েছে। দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিজেপি-র এই সাংসদ আর্জি জানান, যাতে এই বিষয়টা নিয়ে আর কোনরকম রাজনীতি করা না হয়। তাঁর কথায়, “দিদির কাছে আমার আবেদন এটা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। এই ছেলেগুলোর ভাগ্য়ে যে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে এসেছে তা সহ্য করা যাচ্ছে না। ওইটা যদি পাবলিশ করা হয়। তাহলেই তো দেখে নেওয়া যাবে কে যোগ্য-অযোগ্য।” এখনো যোগ্য অযোগ্যদের পার্থক্য করা সম্ভব বলে মনে করছেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ মনে করছেন। তবে এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অসংখ্য প্রকাশ করে জানান, হয়তো ওই ওএমআর শিট লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পুড়িয়ে ফেলা হয়নি। তাঁর কথায়, “কারণ, পুড়িয়ে দিয়েছি বা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে এটার পরও দেখা গিয়েছে সেই OMR শিট থেকে ‘Right to information act’-এর প্রশ্নের উত্তর SSC দিয়েছে।”
