নামমাত্র বরাদ্দ বৃদ্ধিতে অসন্তোষ
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে মিড ডে মিলের বরাদ্দ ‘নামমাত্র’ বাড়ালো কেন্দ্র। প্রাথমিকে বরাদ্দ বেড়েছে ছাত্র পিছু ৫৯ পয়সা উচ্চ প্রাথমিকে ছাত্র পিছু বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ৮৮ পয়সা।
গত বছর নভেম্বর মাসে শেষবার কেন্দ্রীয় সরকার মিড-ডে মিলের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বাড়িয়েছিল। যদিও তারপর থেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় বিভিন্ন রাজ্যের স্কুলে স্কুলে বুড়ুয়াদের মিড ডে মিল পরিষেবা দেওয়া এক কথায় দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্য মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছে বেশ কয়েকবার। অবশেষে রাজ্য গুলির দাবি মেনে বরাদ্দ বাড়লো বটে কিন্তু যা বাড়লো তা দিয়ে পুষ্টির মান কতটা বাড়ানো সম্ভব হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষক মহলে। মিড ডে মিল প্রকল্পের লক্ষ্য শুধু স্কুল ছুট কমানোই নয় একইসঙ্গে খুদে স্কুল পড়ুয়াদের খাদ্যের পুষ্টিগুণ এই প্রকল্পের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হারের তুলনায় স্কুলে স্কুলে মিড ডে মিলের যে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে মোদি সরকার তাতে খুশি নয় শিক্ষামহল। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পদস্থ আধিকারিক জানান, “পুষ্টিকর খাবারের জন্য বরাদ্দ আরও বৃদ্ধির প্রয়োজন। বাজারে জিনিসপত্রের যা দাম, তাতে এই সামান্য বৃদ্ধিতে শিশুদের পুষ্টিকর খাবার কিভাবে তুলে দেওয়া যাবে?”
প্রসঙ্গত , ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে মিড-ডে মিলের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয়েছিল প্রাথমিকে মাথাপিছু ৬ টাকা ১৯ পয়সা। আর উচ্চ প্রাথমিকে ৯ টাকা ২৯ পয়সা। তবে ওই সামান্য টাকায় কী হয়, প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। আরও বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিও তোলা হয়। মূল্যবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই এবার সেই বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হলো প্রাথমিকে ৬ টাকা ৭৮ পয়সা আর উচ্চপ্রাথমিকে ১০ টাকা ১৭ পয়সা। বর্তমান চরম মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এই বৃদ্ধি খুব একটা কার্যকর হবে বলে মনে করছেন না প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক মহলের অধিকাংশই।
প্রাথমিক স্তরে নিদেনপক্ষে মাথাপিছু ১০ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে নিলেন পক্ষে মাথাপিছু ১৫ টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। শুধু ছাত্র পিছু বরাদ্দ বাড়ানোই নয় মিড-ডে মিলের রাঁধুনিদের জন্য ভাতা বৃদ্ধির দাবিও তুলছেন প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক শিক্ষিকারা।