মালদা-মুর্শিদাবাদের পর এবার ভাঙড়েই শুরু হয়েছে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কর্মসূচি। আর এই প্রতিবাদ কর্মসূচির জেরে রীতিমতো অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে বাসন্তী হাইওয়ে। সেদিন রামলীলা ময়দান থেকে অভিযানে নেমেছিলেন আন্দোলনকারীরা। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল সেখানে। তার আগেই বিক্ষোভকারীদের রুখে দেয় পুলিশ। চাপিয়ে দেওয়া হয় ব্যারিকেড। শুরু হয় তীব্র উত্তেজনা। ব্যারিকেড ভাঙ্গার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। l
রামলীলা ময়দান থেকে ওয়াকঅফ বিরোধী যে আন্দোলন শুরু করা হয়েছে তার কোন রকম অনুমতি পত্র থানায় জমা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছে পুলিশ। কোনরকম প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই রামলীলা ময়দানের দিকে আসতে শুরু করেন সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীরা। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ গিয়ে বাসন্তী হাইওয়েতে তাদের রুখে দেয়।
জনৈক্য বিক্ষোভকারী জানান,”পুলিশ আমাদের হঠাৎ এখানে আটকে দিল। বলছে, আমাদের নাকি কোনও বৈধ অনুমতি নেই। তাই অন্য জায়গায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে। কিন্তু আমরা অন্য জায়গায় কেন যাব? আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।”
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী পুলিশের দিকে তোপ দেগে বলেন, “উত্তেজনা ছড়াচ্ছে তো পুলিশ। রাজ্য যে ২৬ হাজার চাকরি গিয়েছে, সেই দিক থেকে তো মানুষের মন ঘোরাতে হবে। তাই জন্য আমরা যখন কেন্দ্রের একটা আইনের বিরোধিতা করে ও বাবা অম্বেদকর সাহেবের জন্মজয়ন্তি পালনের জন্য রামলীলা ময়দানের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন আমাদের রুখে গোলযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছে পুলিশ। আমাদের কাছে সব ভিডিয়ো রয়েছে। এগুলো নিয়েই আমরা আইনের পথে যাব।”
রাজ্য বিজেপির দিকে আক্রমণ করে নওশাদ বলেন,”গতকালই তো সুকান্ত-শুভেন্দুরা কলেজ স্কোয়ারে সভা করল। বিদ্বেষমূলক কথাও বলল। ওদের তো কেউ আটকাল না।” তৃণমূলের বিধায়ক শওকত মোল্লা দাবি করেন,”তৃণমূলের এখনও সেই দুরাবস্থা হয়নি যে ISF-এর মতো চার পয়সার দলকে বাধা দিতে হবে। আসলে মানুষ ওদের সঙ্গে নেই। তাই ওরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে এসব কথা বলছে”। তারপর বিজেপি আইএসএফ আঁতাতের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।