একদিকে সুতি, অন্যদিকে ধূলিয়ান, আবার ভাঙড়। একই ছকে ভাঙড়েও চলল তাণ্ডব ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে। অভিযোগ, কলকাতা পুলিশের সিসিটিভি ভেঙে ভাঙড়েও তাণ্ডব চালানো হয়। যারা হামলা করছে তাদের যাতে চিহ্নিত করা না যায়, এই জন্যই সিসিটিভিকে টার্গেট করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের আওতায় যাওয়ার পরই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল ভাঙড় ডিভিশনের গোটা এলাকায়। সোনপুর বাজার ভাঙড়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হল। রাস্তার ওপরে ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা।
সেখানে নন মুভেবল এবং ডোম সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল সেখানে। , কিছু সিসি ক্যামেরার মুখ ঘুরিয়ে ওপরের দিকে করে দেওয়া হয়েছে। শুরু হয় ব্যাপক তান্ডব। ওয়াকফ প্রতিবাদের নাম করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মিছিল বার করা হয় আইএসেফের তরফ থেকে। আটকে দেওয়া হয় একটি মিছিল। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অন্য একটি দল নিয়ে মিছিল করেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
প্রথম থেকে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু দুপুর হতেই ভাঙ্গরের সোনপুর এলাকায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের গাড়িতে চলে বেপরোয়া ভাঙচুর। গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে দেখা যায় এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। পুলিশের বড় ফোর্স মোতায়ন করা হয় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশ কর্মীরা আহত হন।
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “আমরা বারেবারে বলেছি আইএসএফ মানে সমাজ বিরোধী। আইএসএফ-এর নেতা মদতে যেভাবে পুলিশের গাড়িতে যেভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে, তাতে সংখ্যালঘু হিসাবে আমার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে।”
এই বিষয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “পুলিশ যদি বলে এরা আইএসএফ-এর লোক তাহলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। পুলিশ যখন লাঠিপেটা করেছে সেই সময় তৃণমূলের লোকজন ঢুকে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমি বলছি ভিডিয়ো ফুটেজ দেখুন কারা কারা হিংসার সঙ্গে যুক্ত তাদের গ্রেফতার করুন। আইএসএফ সেজে কেউ এই কাজ করছে।”