স্নিগ্ধা চৌধুরী
সোনার ঝাড়ু হাতে বাংলা লিখতে চলেছে এক নতুন ইতিহাস। দিঘার সাগরতটে গড়ে ওঠা জগন্নাথ মন্দির কেবল একটি ধর্মস্থল নয় এ যেন ঐতিহ্য, রাজনীতি, সংস্কৃতি আর ভক্তির সম্মিলনে গড়া এক প্রতীক। আর সেই প্রতীকের প্রথম স্বাক্ষর রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ লক্ষ ১ টাকার সোনার ঝাড়ু উপহার দিয়ে।
নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যখন বললেন, “দান প্রক্রিয়া শুরু হলেই আমিই প্রথম দান করব”, তখন বোঝা গেল এটা নিছক দান নয়, এটা বাংলা থেকে জগন্নাথকে শ্রদ্ধার এক নতশির প্রণাম। পুরীর রীতিকে মাথায় রেখে দিঘার পথে ঝাঁট দেবে সোনার ঝাড়ু মুখ্যমন্ত্রীর হাতে সেই সূচনা।
৩০ এপ্রিল হবে মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন। তার আগেই প্রশাসন, ইসকন, ভারত সেবাশ্রম মিলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে নিরাপত্তা আর আয়োজনের খুঁটিনাটি সাজাতে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দেখছেন কোথায় কে থাকবে, কীভাবে চলবে ট্রাফিক, কোথায় ভক্তদের বিশ্রাম মিলবে।
এই মন্দির শুধু দিঘার নয়, পুরো বাংলার গর্ব হয়ে উঠছে। পুরীর ছায়া টেনে এনে তৈরি করা হয়েছে এক নতুন তীর্থ, যেখানে সমুদ্রের ঢেউ আর শঙ্খের ধ্বনি একসঙ্গে মিলবে ভক্তির সুরে। মুখ্যমন্ত্রীর এই উপহার সেখানে যেন সোনার অক্ষরে লেখা এক অধ্যায়।
এই সোনার ঝাড়ু শুধু সাফ করবে মন্দিরের পথ নয়, মুছে দেবে রাজনীতির কাদা আর বৈষম্যের ধুলোও এমনটাই বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন অনেকে।
যজ্ঞ, ভক্তদের ঢল, বাহারি আলো সবকিছুতেই রয়েছে জৌলুস। কিন্তু তার মাঝখানে প্রশ্ন জেগেছে, এই ঝাড়ু কি শুধুই এক ধর্মীয় অনুসঙ্গ, না কি তার আড়ালে কিছু চাপা পড়ে যাচ্ছে?