স্নিগ্ধা চৌধুরী
রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে টানাপোড়েনের মাঝে অবশেষে মিলল সাময়িক স্বস্তি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন এসএসসি মামলায় ‘যোগ্য’ হিসেবে বিবেচিত শিক্ষকরা। প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের ধাক্কা সামাল দিতে গিয়ে যাঁরা সম্পূর্ণ ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত হননি, তাঁরা আপাতত স্বস্তিতে।
২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসির প্যানেল বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। ফলে প্রায় ২৫,৭৫৩ শিক্ষক চাকরি হারান। এদের মধ্যে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষককে ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাঁদের বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে। বাকিরা, অর্থাৎ ‘যোগ্য’ বা এখনো যাঁদের অযোগ্যতা নির্ধারিত হয়নি, তাঁরা আপাতত স্বস্তি পেলেন শীর্ষ আদালতের কাছ থেকে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ৩১ মে’র মধ্যে নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ততদিন পর্যন্ত ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা স্কুলে পড়াতে পারবেন।
এই রায়ে খুশি অনেক চাকরিহারা শিক্ষক। দীর্ঘদিনের আন্দোলন, ধর্ণা, এবং বারবার দিল্লি যাত্রার পরে এই রায় যেন আশার আলো হয়ে উঠেছে। অনেকেই বলছেন, তারা দুর্নীতির শিকার, কিন্তু নিজেরা কোনও অন্যায় করেননি। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের পাশে থাকবে তারা।
এদিকে গ্রুপ সি ও ডি নিয়ে এখনও কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত। তবে শিক্ষার স্বার্থে এই সময়িক স্বস্তি অনেক বড় বলে মনে করছেন শিক্ষা মহলের অনেকেই।
এই রায়ের পরে রাজ্যজুড়ে শিক্ষকদের মধ্যে যেন নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। প্রশ্ন এখনও অনেক, কিন্তু আপাতত শিক্ষকেরা ফিরছেন তাঁদের প্রিয় ক্লাসরুমে। আর ছাত্রছাত্রীরাও পাচ্ছে পরিচিত মুখ, চেনা গলা।