শঙ্খদ্বীপ মুখার্জী
বিবাহ করতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিয়ে করছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। তবে সাত পাকে বাঁধা নাকি শুধুই রেজিস্ট্রি স্পষ্ট নয়। গোধূলি লগ্নেই হবে বিয়ে। রেজিস্ট্রিতে হাজির থাকবেন দুই পরিবারের পরিজনরা। ইতিমধ্যেই দিলীপের মা কলকাতায় এসেছেন বলে জানা যাচ্ছে। পাত্রী রিঙ্কু মজুমদার। বাড়ি নিউটাউনে। দিলীপের সঙ্গে তাঁর বিজেপি করার সূত্রেই আলাপ বলে জানা যাচ্ছে। কলকাতা উত্তর শহরতলি সাংগঠনিক বিজেপি জেলা মহিলা মোর্চার সঙ্গে যুক্ত রিঙ্কু। দিলীপের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি মায়ের পীড়াপিড়িতেই বিয়ে করছেন দিলীপ। রিঙ্কু বিবাহ বিচ্ছিন্না বা ডিভোর্সি। কাজ করেন সল্টলেকের তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে। তাঁর একটি ২৫ বছরের ছেলে আছে বলেও জানা যাচ্ছে। দিলীপ ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি মা দিলীপকে বলেছেন যে, আমি না থাকলে তোকে কে দেখবে। মায়ের এই কথাই ৬০ বছরের দিলীপকে বিয়ে করতে প্রভাবিত করেছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে জোর চর্চা চলছিল বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। একাধিক নামের সঙ্গে বারাবর শোনা যাচ্ছিল দিলীপ ঘোষের নাম। কিন্তু, এখনও পাকাপাকিভাবে কোনও নামই সংগঠনের তরফে জানানো হয়নি। এরইমধ্য়ে দিলীপের বিয়ের খবর তোলপাড় গেরুয়া শিবিরও। প্রসঙ্গত, রাম নবমীর দিনও গেরুয়া পাগড়ি মাথায় বুলেট হাতে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছিল দিলীপকে। একেবারে স্বমেজাজে দাপিয়ে বেড়ান রাস্তায়। কিন্তু, তার দশদিনের মাথায় যে তিনি বিয়ে করতে চলেছেন তা টের পাননি দলের অনেকেই। খুশির জোয়ার কর্মীদের মধ্যে। বিয়েতে খুব বেশি আড়ম্বর পছন্দ করেন না দিলীপ। সূত্রের খবর, শুক্রবার তাঁর বাড়িতেই একেবারে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই রিঙ্কুকে পাকাপাকিভাবে ঘরে তুলতে চলেছেন তিনি। আমন্ত্রিতের সংখ্যা খুব বেশি নয়। খুব কাছের কিছু মানুষেরাই থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। তারমধ্যে আবার বেশিরভাগই হবু স্ত্রীর নিকটাত্মীয়। নিউটাউনের বাড়িতে মা পুষ্পলতা দেবীকে এনে রেখেছেন দিলীপ। সেখানেই নাকি মায়ের সঙ্গে রিঙ্কুর কথা হয়। রিঙ্কু সেখানেই পুষ্পলতার সঙ্গে কথা বলেন। অনেকে বলছেন দিলীপকে মায়ের বোঝানোর পিছনে নাকি রিঙ্কুর ভূমিকা আছে।