শিক্ষক নিয়োগ বিধিতে একগুচ্ছ বদলের প্রস্তাব
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
আগামী ৩১ মে-র মধ্যে নতুন ভাবি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে কিছুটা স্বস্তি পেয়ে এবার খুব নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু বদল আনার ইঙ্গিত দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আপাতত প্রস্তাব আকারে এই বদলের কথা রাজ্য শিক্ষা দফতরকে পাঠানো হচ্ছে। সরকারি অনুমোদন মিললে তত্পরতার সঙ্গে
নিয়োগ বিধি বদলের কাজ শুরু করবে এসএসসি।
কোন কোন ক্ষেত্রে নিয়োগ বিধিতে বদলের ভাবনা—–
প্রথমত, উত্তরপত্রের নকল পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া। অর্থাৎ পরীক্ষা দেওয়ার পর উত্তরপত্র বা ওএমআর সিটের কার্বন কপি হাতে পাবেন পরীক্ষার্থীরা। কার্বন কপি তারা বাড়িতেও নিয়ে যেতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, ফল প্রকাশের আগেই নির্দিষ্ট উত্তরপত্র প্রকাশ্যে আনা হবে। পরীক্ষা পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই প্রস্তাব বলে জানিয়েছে এসএসসি। তাহলে কে কত নম্বর পাবেন তা ওই উত্তরপত্র দেখেই ধারণা করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।
তৃতীয়ত, পরীক্ষা শেষের পর কাউন্সেলিং পর্বেও বেশ কিছু বদল আনতে চায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। উল্লেখযোগ্য, ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কাউন্সেলিং পর্ব নিয়েও বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। বহু যোগ্য চাকরিপ্রার্থীকে কাউন্সেলিং পর্বে নম্বর ওলটপালট করে মেধাতালিকায় অযোগ্যদের স্পট জাম্প করানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। আসন্ন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই বিতর্ক থেকে দূরে থাকতেই কাউন্সেলিং পর্বে বদলের প্রস্তাব দিতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
সূত্রের খবর, এপ্রিল মাসেই নয়া নিয়োগবিধি তৈরি করে শিক্ষা দফতরে পাঠাবে এসএসসি। রাজ্য সরকারের অনুমতি মিললেই নয়া নিয়োগবিধি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ইতিমধ্যেই নিয়োগবিধির বদল নিয়ে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক প্রধানদের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক হয়েছে এসএসসি চেয়ারম্যানের।
এই প্রথম নয়, এর আগেও ২০২২ সালে নিয়োগ বিধি বদলের প্রস্তাব দিয়েছিল এসএসসি। প্রায় বছরখানেক তা নিয়ে আলোচনা হলেও কাজের কাজ কিছু এগোয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এবার সেই পুরনো খসড়াকেই আরও বদল করে নিয়োগবিধি তৈরি করতে চায় এসএসসি। আপাতত অনুমোদনের অপেক্ষা। তারপরেই নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে।