শঙ্খদ্বীপ মুখোপাধ্যায়
ছিলেন সংঘ প্রচারক, আরএসএস এর সঙ্গে কেটেছে জীবনের অধিকাংশ সময়,তারপর সংঘ প্রচারক থেকে অব্যাহতি পেয়ে পুরোপুরি প্রবেশ রাজনীতিতে। বিজেপির টিকিটে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদে প্রবেশ বাংলা রাজনীতির ‘ঠোঁট কাঁটা দিলীপের’। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন ২০১৯ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ফল করে ভারতীয় জনতা পার্টি, এক ধাক্কায় ১৯ টি আসন জিতে বাংলায় পদ্য ফোটানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। তাকে বিজেপির অন্যতম সফল রাজ্য সভাপতি হিসেবেও ধরা হয়। সেই দিলীপ ঘোষ বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে, ৬১ বছর বয়সী বিজেপি নেতার বিয়ের খবর সামনে আসতেই শোরগল রাজনৈতিক মহলে। একদা দাপুটে নেতা, যাকে বহুবার দেখা গিয়েছে কুঁ কথা বলে বিতর্কে জড়াতে তিনি কিনা ২০২১ থেকে এক রমণীর সঙ্গে আড়ালেই রেখেছিলেন সম্পর্ক ? অবশেষে শুক্রবার দিন যত গড়িয়েছে একের পর এক ছবি ভিডিও সামনে আসতেই পরিস্কার হয়েছে চিত্র টা,এবং সূর্য ডুবতেই চিত্র সম্পূর্ণ পরিষ্কার দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের চার হাত এক হওয়ার দৃশ্য দেখে। কিন্তু বাংলা রাজনীতিতে দিলিপ ঘোষই কি একমাত্র নিদর্শন যিনি বেশি বয়সে বিয়ে করছেন ? একেবারেই নয়। তালিকায় রয়েছেনা প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাস মুন্সী, সোমেন মিত্র সহ অনেকেই। ৪৯ বছর বয়সে দীপা দাস মুন্সির সঙ্গে সাত পাকে বাধা পড়েন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাস মুন্সী । তারই একদা রাজনৈতিক বন্ধু সোমেন মিত্র তার সহধর্মিনী শিক্ষা মিত্রের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বেশ বয়েস কালেই, রয়েছে এরকম অনেক উদাহরণ। সুতরাং বাংলা রাজনীতির ইতিহাসে দিলীপ ঘোষই একমাত্র পাত্র নন, যিনি বেশি বয়সে বিয়ের ফুলের সুগন্ধ নিলেন।