স্নিগ্ধা চৌধুরী
বিয়ে মানেই বিশ্রাম? রাজনীতির ময়দানে অভ্যস্ত দিলীপ ঘোষের ক্ষেত্রে তা একেবারেই নয়। শুক্রবার বিকেলে বিয়ের পর শনিবার সকালেই আবার দেখা মিলল সেই পুরনো ‘মর্নিং ওয়াকার’ রূপে। ইকো পার্কের প্রাতভ্রমণকারীরা যেন চমকে উঠলেন! বিয়ের পর দিনই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জন্মদিনে হাজির হলেন ইকো পার্কে। হাতে কেক, পাশে শুভানুধ্যায়ী।
প্রাতভ্রমণের ছন্দে কাটল তাঁর জন্মদিনও। কেক, পায়েস, মিষ্টি বিলি করলেন উপস্থিত সকলকে। বিয়ের খবরে যাঁরা এখনও অবাক, তাঁদের জন্য এ যেন দ্বিতীয় ধাক্কা! দিলীপ ঘোষ আবার ফিরে এলেন সেই চেনা ধাঁচে। মুখে হাসি, শরীরচর্চা চালু, সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার আবহাওয়া যেমন ছিল রঙিন ঝড়-বৃষ্টির, তেমনই ‘ঝড়’ উঠেছিল রাজনৈতিক মহলেও। হঠাৎ করেই প্রকাশ্যে আসে দিলীপ ঘোষের বিয়ের খবর। কেউ ভেবেছিলেন গুজব, কেউ আবার ট্রোল বলে উড়িয়ে দেন। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে সত্যি হয় চার হাত এক হওয়ার মুহূর্ত! পাত্র দিলীপ ঘোষ, পাত্রী রিঙ্কু মজুমদার।
শুক্রবার বিকেলে একেবারে ঘরোয়া এবং অনাড়ম্বর পরিবেশে সম্পন্ন হয় বিবাহ অনুষ্ঠান। পরিবার ও ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুর উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় মালাবদল। তবে বিয়ের জন্য কর্মসূচির কোনও বড়সড় বদল ছিল না দিলীপ ঘোষের।
আর সেই ধারাবাহিকতায় জন্মদিনের সকালেও হাজির তিনি, ইকো পার্কে পরিচিত মুখদের সঙ্গে সময় কাটাতে। এ যেন বাঙালির চোখে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের এক মানবিক ছবি! চেনা গেরুয়া ছেড়ে নতুন জীবনের শুরুতেও রয়ে গেল সেই ‘চেনা দিলীপ’।
রাজনীতিতে যেমন চমক দিতে পারেন তিনি, তেমনই ব্যক্তিগত জীবনেও দিলেন সারপ্রাইজ। তবে একটা কথা নিশ্চিত! বিয়ে হোক বা জন্মদিন, দিলীপ ঘোষের দিন শুরু হয় সূর্য ওঠার আগেই, প্রাতভ্রমণের ছন্দে!