নিজেদের সেনা কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে ক্যাব বুক করেছিলেন দুই যাত্রী। অটো চালক ছিলেন মহিলা। অটোয় চাপতেই মহিলার সঙ্গে কথোপকথন শুরু হয়৷ কথা বলার পরিপেক্ষিতে ওই মহিলা অটোচালক জানান, মেয়েকে ভালো স্কুলে ভর্তি করতে পারছিলেন না তিনি। উত্তরে সেনা জওয়ানরা বলেন, ভালো স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হবে তাঁর মেয়েকে। তবে সেক্ষেত্রে একবার হোটেলে যেতে হবে তাঁকে। হোটেলের রুমে ঢুকতেই ওই দুই অভিযুক্ত সেনা কর্মী মহিলার হাত-পা চেপে ধরে।
পুলিশকে ওই মহিলা অটোচালক জানান, তাঁকে বন্দুক ঠেকিয়ে গণধর্ষণ করা হয় হোটেলের রুমে। এই নিয়ে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্যায় আগ্রার রাকাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশকে ওই মহিলা আরোও জানান, বৃহস্পতিবার দু’জন লোক তাঁর অটো বুক করেছিল রামবাগ ক্রসিং থেকে বিজলি ঘর পর্যন্ত যাওয়ার জন্য। অটোতে উঠে কিছুদূর যাওয়ার পর শুরু হয় তাঁদের কথোপকথন। তখন উভয় ব্যক্তিই নিজেদের পরিচয় দেন সেনাকর্মী হিসেবে। তখনই তিনি জানান, তাঁর পাঁচ বছরের কন্যা সন্তানকে ভালো স্কুলে ভর্তি করতে পারছেন না তিনি। তখন তাঁর মেয়েকে সৈনিক স্কুলে ভর্তি করে দেওয়ার আশ্বাস দেনওই দুই সেনা কর্মী।
মহিলার আরোও অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে ভর্তি করার জন্য হোটেলে কিছু দরকারী কাজের জন্য যাওয়ার জন্য বলেই ওই দুই সেনা কর্মী। দুই ব্যক্তিই তাঁকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বালুগঞ্জের একটি হোটেলে ডাকে। তারপরই ঘরের দরজা জোর করে বন্ধ করে বন্দুক দেখান৷ এরপর মহিলাকে ওই দুই সেনা কর্মী ধর্ষণ করে।
নির্যাতিতার আরোও অভিযোগ, ওই দুই অভিযুক্ত হুমকি দিয়ে বলে, কাউকে কিছু জানালে তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এই হুমকিতে ভয় পেয়ে যান তিনি৷ পরে, রকাবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুক্রবার। এসিপি হেমন্ত কুমার এই প্রসঙ্গে বলেন, “মহিলা অটোচালকের অভিযোগের ভিত্তিতে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ তাঁদের খোঁজ চলছে ৷ তাঁদের খুঁজতে পুলিশের তিনটি দল গড়া হয়েছে।”