জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা নবান্নে
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি, ধুলিয়ান ও সামশেরগঞ্জ এলাকায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন ২০২৫-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও হিংসায় প্রায় ১০৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সুত্রে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে হিংসায় নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন এবং যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের অধীনে পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন। সম্প্রতি মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, যাঁরা বর্তমানে ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন, তাঁদের নিজ নিজ ঠিকানায় ফিরে এলে দ্রুত ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের আওতায় তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত দোকান ক্ষতিপূরণের প্রসঙ্গে, মুখ্যসচিব পঞ্চায়েত দফতরের সচিব পি উলগানাথনকে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলির সমীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসককে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ ও সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য, ৮ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলা এই হিংসায় ৩ জন নিহত হন এবং ২৭৪ জনের বেশি গ্রেফতার হন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য দ্রুত সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে সার্বিক রিপোর্ট নবান্নে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।