সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় তীব্র নিন্দা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় “সন্ত্রাসবাদীদের কোন জাত হয় না। এদেরকে কখনোই ক্ষমা করা যায় না। আমরা চাই যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা নেয়া হোক।” বুধবার সন্ধ্যেয় অ্যাপোলো হাসপাতালে রাজ্যপালকে দেখতে গিয়ে কাশ্মীরের জঙ্গিহানা প্রসঙ্গে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান এই জঙ্গি হানায় রাজ্যের যে তিন বাসিন্দা নিহত হয়েছেন তাদের দেহ রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন দুপুর দুটো নাগাদ দেহগুলিকে কার্গো বিমানে তুলে দেওয়া হয়েছে। পাটুলির বিতান অধিকারী এবং বেহালার সখেরবাজারের সমীর গুহের দেহ কলকাতা বিমানবন্দরে আনা হবে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাদের দেহ বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা। দুই পরিবারের সঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরে গোটা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন রাজ্যের দুই ক্যাবিনেট মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে পুরুলিয়ার ঝালদায় মনীশ রঞ্জনের দেহ পৌঁছবে রাঁচি হয়ে। দিল্লি থেকে রাঁচি বিমানবন্দরে নামানো হবে মনীষের দেহ সেখান থেকে সড়কপথে পুরুলিয়ায় আনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তিন পরিবারের সঙ্গেই তার কথা হয়েছে। স্বজন হারাদের সমবেদনা জানানোর মত কোন ভাষা নেই। তবে এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে রাজ্য সরকার। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় নিহতদের স্মরণে শোক জ্ঞাপন করা হয় বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরো জানান এখনো ২৬ জন পর্যটক কাশ্মীরে আজকের রয়েছেন। তবে ধসের কারণে তারা সেখানে আটকে পড়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্র ও কাশ্মীর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যারা আটকে পড়েছেন তারা ভালো আছেন বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান দিল্লিতে রাজ্যের রেসিডেন্স কমিশনার গোটা প্রক্রিয়ার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এবং কেন্দ্রের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করছেন।