সোরিয়াসিস—একটি জটিল ও দুরারোগ্য ত্বকজনিত সমস্যা। ফুসকুড়ি, চুলকানি, ফোলাভাবের মতো লক্ষণ দিয়ে শুরু হয়ে এটি রোগীর শরীর ও মন দুটোকেই ক্ষতবিক্ষত করে তোলে। আধুনিক অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসায় একে ‘অটোইমিউন ডিজঅর্ডার’ বলে ধরা হয়, যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজেই ত্বকের কোষে আক্রমণ চালায়। ফলে চিকিৎসায় রোগের উপসর্গ কমানো গেলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি নির্মূল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
অথচ ঠিক এই জায়গাতেই এক ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ। আয়ুর্বেদের শাস্ত্র অনুযায়ী, সোরিয়াসিস মূলত শরীরে জমে থাকা বিষ এবং হজমতন্ত্রের ভারসাম্যহীনতা থেকে সৃষ্টি হয়। পতঞ্জলি গবেষণা কেন্দ্র থেকে এই তত্ত্বকে ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা পদ্ধতি, যা শরীরকে ভেতর থেকে শুদ্ধ করে।
এই চিকিৎসা শুরু হয় শরীর পরিষ্কারের মাধ্যমে—ত্রিফলা, গিলয়, হারীতকী, বাহেরা, নিম, হলুদ, অ্যালোভেরা ও খাঁটি গরুর ঘি-সহ একাধিক ভেষজ উপাদানে তৈরি তেল ও ওষুধ ব্যবহার করে। পাশাপাশি চলে ‘পঞ্চকর্ম’ নামক আয়ুর্বেদিক ডিটক্স পদ্ধতি, যা শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।
শুধু ওষুধ নয়, পতঞ্জলি গুরুত্ব দেয় জীবনযাপনেও। রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা নির্ধারণ করা হয়, যেখানে মশলাদার খাবার, জাঙ্ক ফুড ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত পদার্থ নিষিদ্ধ। মানসিক চাপ কমাতে প্রতিদিন যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম ও ধ্যানের পরামর্শ দেওয়া হয়।
যেখানে অ্যালোপ্যাথি কেবলমাত্র উপসর্গ দমন করে, সেখানে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ রোগের মূলে গিয়ে সমাধান খুঁজেছে—একটি প্রাকৃতিক, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন উপায়ে। অনেক রোগী এতে নতুন করে সুস্থতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
সত্যিই, যা অ্যালোপ্যাথি পারেনি, তা সম্ভব করে দেখিয়েছে পতঞ্জলি—প্রাচীন আয়ুর্বেদের আলোয় নতুন আশা।
