সিআইডি রিপোর্টে বিস্মিত বিচারপতি, সিআইডিকে ভর্ৎসনা
পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিনয় তামাং, এমসিপি সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, বুবাই বোসদের কার্যত ক্লিনচিট দিল সিআইডি। যদিও সিআইডির রিপোর্ট দেখে
বিস্মিত বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “তদন্তে কোন উদ্যোগই নেওয়া হয়নি”।
বিচারপতির নির্দেশ সিআইডি রিপোর্ট হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে আদালতে। এদিন এই মামলার শুনানি চলাকালীন চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় সিআইডির তরফে।
পাহাড়ের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একটি বেনামি চিঠি সামনে আসে। সেই ভিত্তিতে গত বছর এপ্রিল মাসে এফআইআর দায়ের হয় বিধাননগর উত্তর থানায়। অগে এই বিষয়ে হাই কোর্টে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ থাকলেও সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে রাজ্যের পুলিশ দ্বারা তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই তদন্তে বুধবার চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করে সিআইডি।
বুধবার জিটিএ-র আইনজীবী জয়দীপ কর আদালতে দাবি করেন যে, ৩১৩ জন শিক্ষকের মধ্যে শুধু ১৪ জনের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেই। বাকিরা সবাই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক। এই ১৪ জনের বিষয় জিটিএ কেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে জানিয়ে দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও শামিম আহমেদ অভিযোগ করেন যে তাদের মক্কেলদের ভয় দেখানো হচ্ছে এবং মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতে এই মামলার সাথে মামলাকারীদের তৈরি করা সংগঠনকে যুক্ত করার আবেদন করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এখনও জিটিএ অবৈধ নিয়োগ চালু রেখেছে, অভিযোগ আবেদনকারীদের আইনজীবীদের।
এদিন আদালত বান্ধব আইনজীবী কৌশিক গুপ্তকে সিআইডি রিপোর্ট ও আদালতের নির্দেশ বিবেচনা করে অন্য কোন তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর বিষয় নিজের মতামত জানাতে বলেন বিচারপতি বসু। আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত বলেন যে, এই দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত করেছে রাজ্যের পুলিশ, সিআইডি ও অন্যান্য দফতর, তবে প্রতিবারই কোন তথ্যপ্রমাণ না উঠে আসায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে আদালত। আদালত বান্ধবের এই পর্যবেক্ষণের তীব্র বিরোধিতা করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। আদালত বান্ধবের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলাকারীদের এই মামলা করার এক্তিয়ার নিয়ে আদালতের কাছে জানতে চান রাজ্যের আইনজীবী। এই মামলার পরর্বতী শুনানি ১৭ মে।