জন্মদিনে জয় চাইছিলেন আন্দ্রে রাসেল। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে সেই উপহারই তুলে দিলেন তাঁর সতীর্থরা। ৩৭ বছরে পা রাখার দিনেই কলকাতা নাইট রাইডার্স পেল ১৪ রানের দারুণ জয়। ম্যাচের পর উচ্ছ্বসিত রাসেল কৃতজ্ঞতা জানালেন গোটা দলকে।
ম্যাচের আগেই ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের অনুরোধ করেছিলেন, “আমাকে জন্মদিনে একটা জয় দাও।” কথায় কথায় হালকা মনে হলেও রাসেলের সেই চাওয়া যে কতটা আন্তরিক ছিল, সেটা বোঝা গেল ম্যাচ শেষে তাঁর প্রতিক্রিয়ায়। তিনি বলেন, “এই জয় আমার কাছে দারুণ এক উপহার। সবাইকে ধন্যবাদ।”
বল হাতেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন রাসেল। জানালেন, পরিকল্পনা ছিল ছয়টি ইয়র্কার করার, যদিও পুরোপুরি সফল না হলেও চেষ্টা কাজে এসেছে। ‘‘তিন-চারটা ইয়র্কার ঠিকঠাক করতে পেরেছিলাম, সেটাই কাজে লেগেছে,’’ বলেন রাসেল।
বিগত কয়েকটি ম্যাচে দলের হোঁচট খাওয়ার কারণ হিসেবে রাসেল ব্যাটিংয়ের অনিয়মিত ছন্দের কথা বলেন। ‘‘ছ’সাত জন ব্যাটারের মধ্যে অন্তত তিন জনের রান করাটা খুব জরুরি, সেটা হচ্ছিল না। তবে আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়েনি। দিল্লির বিরুদ্ধে আমরা নিজেদের প্রয়োগ করতে পেরেছি,’’— বলেন রাসেল।
এ দিনের জয়ে বড় অবদান সুনীল নারাইন ও বরুণ চক্রবর্তীর। রাসেলের কথায়, “১৪তম ওভারে নারাইন আমাদের ম্যাচে ফেরায়। বরুণও এক ওভারে দু’টি উইকেট নিয়ে দিল্লিকে চাপে ফেলে দেয়। আমাদের দলে এমন বোলার আছে যারা ২০০ রানের পুঁজি নিয়েও ম্যাচ ধরে রাখতে পারে।”
সব মিলিয়ে, জন্মদিনে শুধু কেক নয়, ক্রিকেটই রাসেলকে দিল সবচেয়ে বড় আনন্দ। সতীর্থদের দেওয়া এই জয় সত্যিই তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা উপহার হয়ে রইল।