সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
২০১০ এ স্টিফেন কোর্ট অগ্নিকাণ্ডের পরও হুঁশ ফেরেনি। অবশেষে ২০২৫ -এ ১৫ বছর পর কলকাতার মেছুয়া বাজারের কাছে হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের পর হুঁশ ফিরল কলকাতা পুরসভার ! স্টিফেন কোর্টের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে কারণে এবার কলকাতা শহরের সমস্ত বাড়ির ছাদ উন্মুক্ত রাখতে হবে। রুফটপ-এর নামে বসতবাড়ি হোক বা ব্যবসায়িক ভবনের ছাদ কোনভাবেই অবরুদ্ধ করে রাখা যাবে না। আজই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা বলে জানান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মেয়র জানিয়েছেন “শহরে আর কোন রুপ টপ থাকবে না। আজকেই আমরা একটা নোটিফিকেশন করছি রুফ টপ আর শহরে থাকবে না।
ছাদ কোন একজনের হতে পারে না, বাড়ির ছাদ সবার। ছাদ বেড়ানোর জায়গা নয়।” ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন “ছাদ হচ্ছে সবার সেটা দখল করা যাবে না। ছাদ কেউ বিক্রি করতে পারবে না, সিঁড়ি বিক্রি করতে পারবে না।”
মেযর বলেন, স্টিফেন কোর্টে এই ধরনের ঘটনা হয়েছিল। সিঁড়ি ছিল কিন্তু ছাদ বন্ধ ছিল। ফলে আগুন লাগার সময় কেউ ছাদে আশ্রয় নিতে পারেননি। শহরের চলমান সমস্ত রুফ টপ বন্ধ করতে হবে। সব দফতরকে নিয়ে একটা কমিটি করা হবে। সবাইকে মিলে একটা কমিটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঠন করে দিয়েছেন। আমরা কালকেই বলে দিয়েছি ছাদ বন্ধ করে রাখা যাবে না। ম্যাগমা হাউসের উপরে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে যেখানে আমাদের নজরে আসবে সেখানেই বন্ধ করা হবে। পাশাপাশি নাগরিকদের দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা মেয়র।
মেয়রের মতে ” সিটিজেন রেসপনসিবিলিটি বলে একটা বিষয় আছে। শুধু প্রশাসনের দায়িত্ব থাকতে পারে না। আমরা প্রত্যেকটি লোকের পিছনে লোক লাগাতে পারি না। ইতিমধ্যেই লালবাজারকে বলা হয়েছে থানা থেকে তালিকা দিতে । সেই তালিকা ধরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান মেয়র।
মেয়রের দাবি, স্টিফেন কোর্টের সময় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। তৃণমূল সরকার আসার পর সেখানে ফায়ার অডিট করা হয়েছে। আগে যেগুলো ধর্মশালা ছিল, পরে সেগুলো বেআইনিভাবে গোডাউন করে শাটার লাগিয়ে দেওয়া হছে বলেও জানান মেয়র। এই সমস্ত গোডাউনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মেয়র।
