জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার পর, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও একটি কঠোর পদক্ষেপ ভারতের। তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানে উৎপন্ন বা সেখান থেকে রপ্তানি করা সকল পণ্যের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আমদানির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ভারত সরকার। যে সকল পণ্য অবাধে আমদানি করা যায় বা অন্যথায় অনুমোদিত, সেইসাথে তৃতীয় দেশ দিয়ে পরিবহন করা হয়, সেইসব পণ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে এই নিষেধাজ্ঞা।
পাকিস্তানের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে আরও অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে ইতিমধ্যেই সীমিত বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানির মধ্যে মূলত কৃষিপণ্য, মশলা এবং কিছু খাদ্যদ্রব্য অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা এখন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে খাদ্য ঘাটতি এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির আকারে। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের পর ভারত ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সীমিত করে দিয়েছিল। এবার আমদানি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা সেই দিকে আরও একটি কঠিন পদক্ষেপ।
পহেলগাঁও-বৈসরান উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় দুই বিদেশী পর্যটক সহ ২৬ জন নিহত হয়েছেন। হামলার দায় স্বীকার করে লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)। যদিও পরে আবার তারা দায় অস্বীকার করে। এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং প্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নেয় ভারত। এর মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা, আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করা এবং পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা। এরপর পাকিস্তানের সঙ্গে আমদানি রপ্তানিও বন্ধ করলো ভারত।