পহেলগাঁও হামলার পরে এই প্রথম জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার বিকেলে বৈঠকটি হয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন, ৭, লোককল্যাণ মার্গে। ৩০ মিনিটের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পহেলগাঁও হামলা উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতি-সহ একাধিক বিষয়ে কথা হয় দুজনের। বৈঠকে দু’জনের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, আনুষ্ঠানিক ভাবে তা জানানো হয়নি। তবে সরকারি সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগাঁও পরবর্তী নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পহেলগাঁও হামলার পরই মোদি বলেছিলেন, ‘এই হামলা শুধুমাত্র নিহত পর্যটকদের ওপর হামলা নয়, দেশের শত্রুরা ভারতের আত্মার ওপর হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখিয়েছে।তিনি বলেন সেই সব সন্ত্রাসবাদীদের আর হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের, তাদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যা তাদের কল্পনারও বাইরে।শাস্তি হবেই হবে।
শনিবার দিল্লিতে যে প্রধানমন্ত্রী এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে বৈঠক হতে চলেছে তার আগাম আভাস দিয়েছিল ন্যাশনাল কনফারেন্স। সম্প্রতি পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় এক দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। সে দিন বিধানসভায় বক্তৃতার সময়ে পর্যটকদের নিরাপদে বাড়ি ফেরাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন ওমর।বলেন, “আমি জানি না মৃতদের পরিবারের কাছে কী ভাবে ক্ষমা চাইব। আয়োজক হিসাবে পর্যটকদের নিরাপদে বাড়ি ফেরানো আমার কর্তব্য ছিল। কিন্তু আমি পারিনি। ক্ষমা চাওয়ার কোনও ভাষা আমার কাছে নেই।”
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর টানা ন’দিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। বিনা প্ররোচনায় গুলি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও। ওই সূত্রের দাবি, মোদী-ওমর বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। জানা যাচ্ছে কোন উপায়ে প্রত্যাঘাত করা হবে, আলোচনায় তা-ও উঠে আসে। তা ছাড়া কাশ্মীরে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়েও দু’জনের মধ্যে কথা হয়।
Leave a comment
Leave a comment