স্নিগ্ধা চৌধুরী
দিঘার “জগন্নাথ ধাম” কেন্দ্র করে ধর্মীয় আবেগ ও রাজনৈতিক চাপানউতোরের পারদ চরমে। পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পর্যটনস্থল দিঘায় নির্মিত এই কেন্দ্রটি ঘিরে ওড়িশা এবং বাংলার মধ্যে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বলেছেন, এটি শুধু ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত নয়, বরং পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতি স্পষ্ট অবমাননা।
রবিবার সকালে টুইট করে শুভেন্দু জানান, “জগন্নাথ ধাম” নামে যেটি প্রচার করা হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তা একধরনের প্রতারণা। প্রকল্পের সরকারি কাগজে “কালচারাল সেন্টার” লেখা থাকলেও বাস্তবে সেটিকে একধরনের মন্দির হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, যা পুরীর ঐতিহ্যকে নকল করার যে স্পষ্ট প্রয়াস।
তিনি আরও দাবি করেন, “ধাম” শব্দটির একটি ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। ভারতের চার ধামের একটি হল পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির, যেখানে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত রথযাত্রায় অংশ নেন। দিঘার এই স্থাপনাটি সেই গম্ভীর ও পবিত্র পরিচয়কে নকল করে ধর্মীয় বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
শুভেন্দু এ প্রসঙ্গে ওড়িশা সরকারের জোরালো তদন্তের প্রশংসা করেন এবং দইতাপতি নিযোগের দুই সদস্য রামকৃষ্ণ দাসমহাপাত্র ও রাধারমণ দাস এর ভূমিকার তদন্ত দাবি করেন। তাঁর কথায়, এই দুই ব্যক্তি জগন্নাথ সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাজ্য সরকারের এই দালালি শুধু ধর্মীয় সংস্কৃতি নয়, জাতিগত পরিচয়কেও বিপন্ন করছে। মানুষকে সচেতন করা এখন সময়ের দাবি।
দিঘার ‘জগন্নাথ ধাম’ এখন শুধু একটি নির্মাণ নয় এটি এক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের প্রতীক। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে স্পষ্ট, এই বিতর্ক সহজে মিটছে না।