স্নিগ্ধা চৌধুরী
ভালবাসার সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছিল। কিন্তু সেই সম্পর্কই এবার কেড়ে নিল এক সিআরপিএফ জওয়ানের চাকরি। পাকিস্তানের তরুণীকে বিয়ে করায় ও ভিসার মেয়াদ শেষের পরও তাঁকে ভারতে রাখার অভিযোগে জম্মুর বাসিন্দা মুনির আহমেদকে বরখাস্ত করেছে সিআরপিএফ। তবে মুনিরের দাবি, এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অন্যায্য। তিনি সদর দফতরের অনুমতি নিয়েই বিয়েটা করেছিলেন।
মুনির জানান, ২০১৭ সালে তিনি বাহিনীতে যোগ দেন। ২০২২ সালের শেষে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মিনাল খানের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় অনলাইনে। সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে। ২৪ মে ২০২৪, ভিডিও কল মারফত তাঁরা নিকাহ সম্পন্ন করেন। বিয়ের আগে ৩০ এপ্রিল ২০২৪-এ তিনি সদর দফতরের কাছ থেকে অনুমতিও পেয়েছিলেন বলে দাবি মুনিরের।
বিয়ের পর সমস্ত বিবাহ সংক্রান্ত নথি ও ছবি তিনি নিজের ব্যাটেলিয়নে জমা দেন। তখন তাঁকে জানানো হয়, “নো অবজেকশন” সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা নেই, তবে নিয়ম মেনে কাগজ জমা হওয়ায় সমস্যা হবে না।
মিনাল ভারতে প্রবেশ করেন ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ভিসার মেয়াদ ছিল ২২ মার্চ পর্যন্ত। তারপর তাঁরা দীর্ঘমেয়াদি ভিসার জন্য আবেদনও করেন। এই প্রক্রিয়ার মাঝেই আচমকা বদলি করা হয় মুনিরকে। এরপর মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে বরখাস্তের চিঠি আসে।
সবথেকে আশ্চর্যের, বরখাস্তের খবর তিনি প্রথমে সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারেন। পরে বাড়িতে একটি চিঠি পাঠানো হয়। এই পুরো ঘটনাকে ‘অন্যায়’ আখ্যা দিয়ে আইনি পথে ন্যায়ের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন মুনির।
সিআরপিএফের তরফে যদিও দাবি করা হয়েছে, বিদেশিনী স্ত্রীর তথ্য গোপন করা এবং তাঁর অবৈধভাবে ভারতে থাকার বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এই যুক্তি মানতে নারাজ মুনির ও তাঁর পরিবার।
এই প্রেম-বিয়ের গল্প এখন নতুন মোড়ে আইনি লড়াই। এখন দেখার, আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়।