পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকেই দেশজুড়ে নিরাপত্তা এবং প্রতিশোধ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। সেই আবহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একে একে সাক্ষাৎ করছেন দেশের তিন বাহিনীর প্রধানরা। রবিবার দুপুরে ৭, লোক কল্যাণ মার্গে মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান, এয়ার মার্শাল অমরপ্রীত সিং। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে আলোচনা চলছিল বলে খবর।
এর আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন সেনাবাহিনীর নতুন প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠী। সব বৈঠকই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, প্রতিটি বৈঠকেই পহেলগামের হামলার পাল্টা জবাব কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে।
৩০ এপ্রিল সেনাপ্রধান দ্বিবেদী প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ৩ মে শনিবার সন্ধ্যায় মোদীর সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন নৌসেনা প্রধান। এবং আজ, ৫ মে, তৃতীয় বাহিনীর প্রধান হিসেবেই দেখা করলেন বায়ুসেনাপ্রধান। এই ধারাবাহিক বৈঠকই জল্পনা বাড়াচ্ছে—তবে কি পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী বা পাক সেনার বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাতের রণকৌশল চূড়ান্ত হয়ে গেল?
প্রসঙ্গত, পহেলগাম হামলার পরই প্রধানমন্ত্রী সমস্ত সামরিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর শীর্ষকর্তাদের। এখন মোদীর সঙ্গে একে একে বাহিনীপ্রধানদের এই বৈঠক সেই প্রত্যাঘাতের রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়ারই অংশ কি না, তা নিয়ে কৌতূহলের পারদ চড়ছে দেশজুড়ে।
দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তন বা প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের ইঙ্গিত মিলছে বলেই মত কূটনৈতিক মহলের একাংশের। এবার নজর আগামী দিনগুলিতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সম্ভাব্য ঘোষণার দিকে।