স্নিগ্ধা চৌধুরী
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমেই চরমে। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর প্রতিশোধস্পৃহায় জ্বলছে ভারত। একের পর এক কূটনৈতিক কড়া পদক্ষেপ, সঙ্গে চলছে প্রতিরক্ষা মহড়ার প্রস্তুতি, এ সব দেখে প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি যুদ্ধ আসন্ন?
৭ মে থেকে গোটা দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে শুরু হচ্ছে মক ড্রিল। ২৪৪টি জেলার স্কুল, বাজার, ও জনবহুল এলাকায় করা হবে এই অনুশীলন। সাধারণ মানুষকে শেখানো হবে—যুদ্ধ শুরু হলে কোথায় গিয়ে লুকোবেন, কিভাবে বাঁচবেন। এমন চিত্র ১৯৭১ সালের যুদ্ধের আগে দেখা গিয়েছিল শেষবার। ঐতিহাসিক ঘটনার পুনরাবৃত্তির ভয়ে অনেকেই ভাবছেন, “এই ড্রিলই কি যুদ্ধের পূর্বাভাস?”
পাশাপাশি, বিমান বাহিনী উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে সামরিক মহড়া চালিয়েছে। বায়ুসেনার এহেন সক্রিয়তা বিরল নয়, তবে একসঙ্গে স্থল, জল ও আকাশপথে এমন রণসজ্জা সত্যিই নজরকাড়া।
এদিকে পাকিস্তানও বাড়াচ্ছে সীমান্তে নজরদারি। প্রাক্তন পাক হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত বলেছেন, ৯ মে রাশিয়ার বিজয় দিবসের পরই ভারত পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে। এই আশঙ্কায় কম্পিত ইসলামাবাদ।
প্রশ্ন একটাই! এই অনুশীলন কি কেবল সতর্কতা, নাকি আসন্ন যুদ্ধের প্রস্তুতি? ইতিহাস বলছে, ১৯৭১-এর নভেম্বরে ড্রিলের চার দিনের মাথায় যুদ্ধ লেগেছিল। আজও কি সেই হিসেব মিলে যাচ্ছে?
উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে। তবে সাধারণ মানুষকে প্রস্তুত রাখতে প্রশাসনের এমন সক্রিয়তা প্রশংসনীয়। যুদ্ধ হোক বা না হোক, সতর্কতাই একমাত্র উপায়।