সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে রাজ্যজুড়ে পুলিশি নজরদারি বাড়াতে তৎপর হলো রাজ্য প্রশাসন।
পুলিশের শীর্ষ স্তর থেকে রাজ্যের সমস্ত থানা এলাকায় সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের প্রায় ৭৫০টি থানার অধিকাংশেই ইতিমধ্যেই সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রাজ্যের মুখ্য সচিবালয় নবান্নের কন্ট্রোল রুমে সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। এবার ওই ক্যামেরা গুলির সঙ্গে রাজ্য পুলিশের ডিজির কন্ট্রোল রুমকেও যুক্ত করা হচ্ছে। ফলে রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তারা রাজ্যের পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলার উপর নজরদারি চালাতে পারবেন।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশ, জেলা পুলিশ এবং রেল পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত ৩৮টি পুলিশ জেলার অধিকাংশ থানাই এখন নাগরিক নজরদারির আওতায় এসেছে। ভিডিও কন্ট্রোল রুমে যুক্ত হয়েছে সেই সব সিসি ক্যামেরা। যার ফলে কোথাও গোলমাল হলে সঙ্গে সঙ্গে নবান্ন থেকেও তা দেখে চটজলদি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।প্রথম দফায় কলকাতা, হাওড়া ও বিধাননগর কমিশনারেটের অধিকাংশ এলাকার সিসি ক্যামেরা গুলিকে নবান্নর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে বাকি থানাগুলিকেও সংযুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে হাজার হাজার সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলে জানান পুলিশ আধিকারিকরা।
তবে, কিছু এলাকায় এখনও ক্যামেরা নেই, ফলে সেখানে নজরদারি কঠিন হয়ে পড়ছে। বিশেষত গ্রামীণ এলাকাগুলিতে সিসি ক্যামেরার অভাব সবচেয়ে বেশি। এর ফলে অপরাধমূলক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তদন্তকারীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই পুলিশের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত নয় এ ধরনের এলাকাতে দ্রুত সংযুক্ত করতে হবে। পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শ্মশানঘাট বা সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে ক্যামেরা না থাকায় অতীতে বেশ কিছু অপরাধ ধরা পড়েনি। এখন সেই ঘাটতি মেটাতেই ব্যাপক হারে সিসি ক্যামেরার নজরদারি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।