দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি
অভিনব রবীন্দ্রজয়ন্তীর সাক্ষী হয়ে থাকলো উত্তরপাড়াবাসী। শুক্রবার উত্তরপাড়ার গণভবনে দর্শক আসনে দর্শক নয় সেখানে দর্শক আসনের সামনের স্বল্প পরিসরের মধ্যে দাঁড়িয়ে ১৫০ জন নৃত্যশিল্পী তাদের নৃত্যের মধ্য দিয়ে বিশ্বকবিকে স্মরণ করলেন। আর দর্শক আসনের পিছনে দাঁড়িয়ে সেই রবীন্দ্রজয়ন্তীর সাক্ষী হয়ে থাকলেন এলাকাবাসী।
এদিন উত্তরপাড়া কোতরং পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ডলি ঘোষ যাদবের উদ্যোগে এই রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয়। এদিন রিমোটের মাধ্যমে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব ও তার সঙ্গী অন্যান্য কাউন্সিলররা। মনের ইচ্ছা শক্তি থাকলে কোন কিছুই যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না তার সবচেয়ে বড় নিদর্শন আজকের এই নৃত্য প্রদর্শন। দুটি দর্শক আসনের মাঝখানে মাত্র এক ফুট ফাঁকা জায়গা। একদিকে মঞ্চে যখন প্রায় কুড়ি জন নৃত্যশিল্পী নৃত্য প্রদর্শন করছেন আর তারই সাথে ছন্দ মিলিয়ে দর্শক আসনের দু’টি সারির মাঝে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়েই নৃত্য শিল্পীরা যে নৈপুণ্যের সঙ্গে তাদের নৃত্য প্রদর্শন করেছেন তা দেখে রীতিমতো বিস্মিত এলাকার মানুষ। এক কথায় নৃত্য শিল্পীরা এদিন নিজেদের শিল্পকলার মধ্য দিয়েই রবীন্দ্র চিন্তা ভাবনাকে তুলে ধরেছেন। এদিন এই নৃত্য চলাকালীন অতি অল্প সময়ে এক শিল্পী রবীন্দ্রনাথের ছবি এঁকে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেন। এদিনের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত থেকে শুরু করে নাটক মঞ্চস্থ করে বিশ্বকবিকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এদিন এ বিষয়ে দিলীপ যাদব জানান রবীন্দ্রনাথ সারা বিশ্বের কবি। শুধু ভারতবর্ষ নয় চীন, জাপান, রাশিয়া, আমেরিকা সর্বত্র আজও আমাদের কবির ভাবনাচিন্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। সেখানে কে কি রকম ভাবে তার ভাবনা চিন্তাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হল আমরা বিশ্বকবির ভাবনাচিন্তার কতটা গভীরে প্রবেশ করতে পেরেছি। আজকে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে উদ্যোক্তা ডলি ঘোষ যাদব জানান হুগলি জেলায় এই প্রথম দেড়শো নৃত্যশিল্পী ও তাদের গুরুরা একসঙ্গে নৃত্য প্রদর্শন করেন। তিনি প্রাণের কবি হৃদয়ের কবি তাই তাকে তারা আজকে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে স্মরণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
Leave a comment
Leave a comment