সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে জরুরি অবস্থাকালীন নাগরিক প্রতিরক্ষা আইনের ক্ষমতা প্রয়োগের নির্দেশ দিল কেন্দ্র। সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিব ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকদের শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় ১৯৬৮ সালের অসামরিক প্রতিরক্ষা আইনের ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী জরুরী অবস্থাকালীন ক্ষমতা প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
প্রতিকূল আক্রমণ বা দুর্যোগ থেকে মানুষ এবং সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দেয় ১৯৬৮ সালের এই নাগরিক সুরক্ষা আইন। এই আইনে আকাশ, স্থল, সমুদ্র বা অন্যান্য উৎস থেকে আক্রমণের বিরুদ্ধে মানুষ, সম্পত্তি এবং স্থানগুলিকে রক্ষা করার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই আইনবলে রাজ্য সরকার জনসাধারণকে নাগরিক প্রতিরক্ষা সম্পর্কে নির্দেশ দিতে পারে। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আলো এবং শব্দ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং প্রয়োজনে অন্যান্য ব্যবস্থাও নিতে পারে। নাগরিক প্রতিরক্ষা আইনের লক্ষ্য হল সামরিক আক্রমণ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য জনগণকে প্রস্তুত করা।
শত্রুভাবাপন্ন আক্রমণ এবং দুর্যোগের বিরুদ্ধে নাগরিক এবং সম্পত্তির সুরক্ষা প্রদান করা। পরিস্থিতি অনুযায়ী স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সরকারের নিয়মিত দায়িত্ব পালনের থেকেও এই পদক্ষেপ গুলি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পালন করতে হবে বলেও কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে সীমান্ত এলাকায় বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপাশ থেকে প্রণ ও মিসাইল ব্যবহার করে পাকিস্তান নির্বিচারে আক্রমণ চালাচ্ছে বলে এদিন জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তান বারংবার যুদ্ধ বিরোধী আইন ভঙ্গ করছে ভুলেও অভিযোগ ভারতের। জাতির সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষায় গোটা দেশকে দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ভারত-পাক যুদ্ধের দামামায় রাজ্যগুলিকে সতর্কতা অবলম্বনে পাশাপাশি জরুরি অবস্থাকালীন নাগরিক সুরক্ষার সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়ার কেন্দ্রীয় বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।