শনিবার বিকেল ৫টা থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির পর উপত্যকায় আপাত শান্তির আবহ। রবিবার ও সোমবারের মধ্যবর্তী রাতে জম্মু-কাশ্মীরের লাইন অফ কন্ট্রোল বা এলওসি এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কোনও গুলি বা গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ১৯ দিনের একটানা উত্তেজনার পর এই প্রথম শান্ত-স্বাভাবিক রাত কাটালেন সীমান্তবাসী।
১১ মের রাত ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ। ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর ২৩ এপ্রিল থেকে সীমান্ত জুড়ে শুরু হওয়া ছোট অস্ত্রের গুলি ৭ মে থেকে বাড়তে বাড়তে ভারী গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলার রূপ নিয়েছিল। অবশেষে শনিবারের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।
পুঞ্চের সুরানকোট, যা সম্প্রতি গোলাবর্ষণের কারণে প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছিল, সেখানে জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, গত রাতের শান্ত পরিস্থিতি তাদের বাড়ি ফেরার আশায় বুক বাঁধতে সাহায্য করছে। দু’দিন আগেও প্রবল গোলাবর্ষণের কারণে অনেকে পাহাড়ি গ্রাম ও বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এ বার তারা বাড়ি ফিরতে চান।
শ্রীনগর, পাঠানকোট, রাজৌরি, আখনুর, জম্মু, কুলগাম, শ্রীগঙ্গানগর ও বদগাম-সহ বিভিন্ন এলাকার ছবি ও ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পরিস্থিতি আপাত স্বাভাবিক। দোকানপাট খুলেছে, রাস্তায় চলছে গাড়ি, বাস, ট্রাক। চণ্ডীগড়েও রবিবার সমস্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার। নাগরিকদের গুজব বা ভুয়া তথ্য না ছড়ানোর অনুরোধও জানানো হয়েছে।
এ দিকে, রাজস্থানের জয়সলমেরের স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দোকান-বাজার খোলা থাকলেও সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর সব বন্ধ করা হচ্ছে। তবে তাতে জনজীবনে তেমন বড় কোনও প্রভাব পড়ছে না বলেও দাবি তাদের।
তবে, সংঘর্ষ বিরতির কয়েক ঘণ্টা পর শনিবার রাতে পাকিস্তান সীমান্তে একাধিক সেক্টরে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল বলে সেনা সূত্র জানিয়েছে। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত। বাসিন্দারা চান, এই শান্তি যেন দীর্ঘস্থায়ী হয়। আবার প্রাণ হাতে করে যেন বেরিয়ে আসতে না হয় ঘর ছেড়ে।
Leave a comment
Leave a comment