স্নিগ্ধা চৌধুরী
১৪ বছরের সাদা পোশাকের সফরের পর টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন বিরাট কোহলি। সোমবার সকালে সমাজমাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্ত সকলের সামনে আনলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। রোহিত শর্মার অবসরের কিছু দিনের মধ্যেই টেস্টকে বিদায় জানালেন কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেটে এক যুগের অবসান।
সমাজমাধ্যমে কোহলি লেখেন, “১৪ বছর আগে যখন প্রথমবার নীল ব্যাগি টুপি পরেছিলাম, তখন বুঝিনি এই যাত্রা আমায় কোথায় নিয়ে যাবে। এই ফরম্যাট আমায় গড়ে তুলেছে, শিখিয়েছে, ভেঙেছে আবার জোড়া দিয়েছে।” তিনি আরও লেখেন, “সাদা পোশাকের মধ্যে এমন কিছু গভীরতা আছে যা অন্য কোনও ফরম্যাটে নেই। সেই অভিজ্ঞতা আমায় সারাজীবন ছুঁয়ে থাকবে।”
১২৩টি টেস্টে কোহলির সংগ্রহ ৯,২৩০ রান। গড় ৪৬.৮৫। ৩০টি শতরান ও ৩১টি অর্ধশতরান তাঁর কৃতিত্বের ঝুলিতে। তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস , অপরাজিত ২৫৪ রান দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে, ২০১৯ সালে পুণেতে। এমন এক সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারে হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত অনেকে।
বোর্ড অবশ্য চেয়েছিল কোহলি ইংল্যান্ড সফর পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। রোহিতের অবসরেই টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং অর্ডারে অভিজ্ঞতার ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। তার উপর কোহলিও না থাকলে তা আরও বেড়ে যাবে। সেই কারণেই বোর্ড তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু বিরাট ছিলেন অনড়।
গত অস্ট্রেলিয়া সফরের পর থেকেই টেস্ট ছাড়ার ভাবনা কোহলির মনে ছিল। যদিও সেই সফরে একটি শতরান করেছিলেন, কিন্তু বাকি ম্যাচে সফল হতে পারেননি। এরপর থেকেই সময় গুনছিলেন তিনি।
বিদায়ী টেস্টের সুযোগ না পেলেও, ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে ‘টেস্ট ম্যান’ বিরাট কোহলির অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর নেতৃত্ব, লড়াকু মানসিকতা, এবং ক্রিকেটের প্রতি নিষ্ঠা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
চলে গেলেন বিরাট, রেখে গেলেন এক স্বর্ণযুগের স্মৃতি।