পাকিস্তানের পর এ বার ইউনুসের বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ সূত্রে খবর, আগামী জুনেই ঢাকা ১.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে চলেছে। আইএমএফ ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বাংলাদেশকে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন নানা শর্ত পূরণ। বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই শর্তপূরণ করেছে মুহাম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশ। তাই জুনেই তারা পেতে চলেছে ১৩০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ১০ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা।
বুধবার ঢাকা থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সব বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করার পর, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, মুদ্রা বিনিময় হার এবং অন্যান্য সংস্কার কাঠামো নিয়ে উভয় পক্ষ একমত।” এর ফলে আইএমএফ আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি মিলিয়ে ১.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড়বে বলে আশা করছে ঢাকা।
আইএমএফ-এর ঋণ পেতে দরকার বেশ কিছু শর্তপূরণ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটি প্রধান শর্ত ছিল, সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরকে বিলোপ করে অর্থ মন্ত্রকের অধীন দু’টি বিভাগ গঠন করা। ঢাকার দাবি, ইউনুসের দেশ সেই শর্ত পালন করেছে। এখন থেকে অর্থ মন্ত্রকের তৈরি করা একটি বিভাগ আর্থিক নীতি দেখবে এবং অন্যটি কর আদায় ও প্রশাসন পরিচালনা করবে। এতে সরকারি কাজে দক্ষতা, স্বচ্ছতা বাড়বে বলে মনে করে আইএমএফ। এ ছাড়াও ইউনুস সরকার ২ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তাও পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মিলিত ভাবে এই অর্থ সহায়তা করবে বিশ্বব্যাঙ্ক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক বা এডিবি, এআইআইবি, জাপান এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারের উপর ব্যাপক চাপ পড়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি এমন হয় যে, জ্বালানি ও গ্যাস আমদানির জন্য টাকা পর্যন্ত দিতে পারছিল না তারা। তখন বাংলাদেশের হাসিনা সরকার ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের এই ঋণ প্যাকেজের জন্য আইএমএফ-এর দ্বারস্থ হয়। এর আগে প্রথম তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ২.৩ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। জুন মাসে চতুর্থ এবং পঞ্চম কিস্তি মিলিয়ে ১.৩ বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে তারা।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর, ২০২৪ সালের আগস্টে শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। যাকে অনেকাংশেই পাকিস্তানপন্থী বলে মনে করেন অনেকে।
Leave a comment
Leave a comment