কাকদ্বীপের নির্বাচন কর্মীকে সাসপেন্স করল নির্বাচন কমিশন, শুরু তদন্ত
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
‘ভুতুড়ে ভোটার’ বা ডুপ্লিকেট নম্বর ইস্যুতে এরাজ্যে এই প্রথম শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকায় নতুন নাম তোলা বা বাদ দেওয়ার কাজে অবৈধ হস্তক্ষেপের অভিযোগের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপের আধিকারিককে সাসপেন্ড করল কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গেছে কাকদ্বীপের যুগ্ম বিডিও তথা সহকারী ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের সিস্টেমে অবৈধভাবে লগইন করে যোগ্য ভোটারের নাম বাদ দিয়ে অযোগ্য ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার কাজ করেছিলেন সংশ্লিষ্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম ম্যানেজার পদমর্যাদার অরুণ গড়াই। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে অভিযুক্ত অরুণ গড়াই কে শোকজ করেছিল মুখ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দপ্তর। শোকজ এর উত্তরে নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেও নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী এবং ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অকাট্য তথ্য প্রমাণ থাকায় অরুন গড়াইকে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক তথা ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসারের রিপোর্টের ভিত্তিতে চার্জশিট দেওয়ার পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পেনাল্টি চার্জ করা হতে পারে বলে কমিশন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সিস্টেম ম্যানেজারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনার সূত্রেই গত দুবছরের যাবতীয় তথ্য রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দপ্তরের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনও। জানা গেছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম বিডিওর সিস্টেমে অবৈধভাবে লগইন করে তাঁর মোবাইল নম্বরে আসা ওটিপি ব্যবহার করে অবৈধ ভোটারদের নামে
ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা বাদ দেওয়ার সংশ্লিষ্ট ফর্ম ৬,৭ এবং ফর্ম ৮ অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন অভিযুক্ত সিস্টেম ম্যানেজার অরুণ গড়াই। যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সামনে আসায় অরুণ গড়াই কে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। উল্লেখযোগ্য, দক্ষিণ 24 পরগনার এই ঘটনার জেরে
শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে কলকাতার অহীন্দ্র মঞ্চে রাজ্যের সব সিস্টেম ম্যানেজারদের নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ বৈঠকে বসছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।
