ছোট হেড- নাম কিনছেন ট্রাম্প! পরমাণু-হুমকি দিয়েছিল পাকিস্তান? সবটা জানালেন বিদেশসচিব…
Vikram Misri: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতিতে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই। সোমবার বিদেশ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিকে স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ সংসদ ভবনে শাসক ও বিরোধী সাংসদদের নিয়ে গঠিত ওই কমিটির হয় ওই বৈঠক। সেখানেই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা করেন বিদেশসচিব।
ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে বারবার কৃতিত্ব দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর জীবনের অন্যতম বড় সাফল্য বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। যদিও সংঘর্ষ বিরতি প্রতিষ্ঠায় আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই, বরং ভারত ও পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক স্তরে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন বিদেশ সচিব।
সূত্রের খবর, সংসদীয় কমিটির এক সদস্য প্রশ্ন তোলেন, “অন্তত সাতবার ট্রাম্প ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির জন্য কৃতিত্ব দাবি করেছেন। কিন্তু ভারত কেন তা নিয়ে চুপ?” অপর এক সদস্যের প্রশ্ন, “ট্রাম্পকে যাতে কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন, সেই পথ কেন আরও মসৃণ করে দেওয়া হচ্ছে? কাশ্মীর নিয়েও বারবার মন্তব্য করেই চলেছেন ট্রাম্প।” যদিও ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্তে কোনও তৃতীয় শক্তি কাজ করেনি বলেই সাফ জানিয়ে দিলেন বিক্রম মিশ্রি। বিদেশ সচিব বলেন, “ট্রাম্প আমাদের অনুমতি নেননি, ওঁনার ইচ্ছে হয়েছে তাই উনি শিরোনামে আসতে চেয়েছেন।”
ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আরও দাবি ছিল, ভারত পাক উত্তেজনা নাকি পরমাণু যুদ্ধের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। যদিও বিক্রম মিশ্রি এদিন স্পষ্ট বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চিরাচরিত সংঘাতের উদ্রেক ঘটেছিল ও সেখানেই সীমাবদ্ধ ছিল। এর বেশি ইসলামাবাদের তরফে কোনও পরমাণু হুমকি দেওয়া হয়নি। দুই দেশের ডিজিএমও-এর বোঝাপড়া ও সিদ্ধান্তের পর ১০ মে সংঘাত থামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যদিও প্রত্যাঘাতের সময় কতগুলি ভারতীয় সামরিক বিমান ধ্বংস হয়েছে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বিদেশ সচিব। জাতীয় নিরাপত্তাজনিত কারণেই এসম্পর্কে কিছু বলা যাবে না, জানিয়ে দেন মিশ্রি। এদিন বিদেশ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের রাজীব শুক্ল, দীপেন্দর হুডা, বিজেপির অপরাজিতা সরঙ্গী, অরুণ গোভিল এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।