সিকিমের ৫০তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৯ মে রাজ্য সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পালজোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত রাজ্যব্যাপী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানাবেন। যদিও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং ইতিমধ্যেই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁর কথায়, প্রায় ১ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হবে।
এই সফর শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, চীন ও পাকিস্তান ঘিরে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এটি এক কৌশলগত বার্তা বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। অপারেশন সিঁদুর এবং তার পালটা পাকিস্তানি হামলার সময়ে চীনের সক্রিয় সহায়তা এবং সীমান্তে চীনা আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে এই সফরের তাৎপর্য আরও বেড়েছে। চীন সীমান্তবর্তী রাজ্য সিকিমে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে জোরালো করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরে শুধুই বার্তাবহ বক্তব্য নয়, রাজ্যের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিস্থিতির পর্যালোচনাও হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য সরকারের এক শীর্ষকর্তার মতে, এই সফরের মাধ্যমে সিকিমের উন্নয়নে কেন্দ্রের সক্রিয় ভূমিকা আরও স্পষ্ট হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৬ মে গণভোটের মাধ্যমে সিকিম ভারতের ২২তম রাজ্যে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পরও বেশ কিছুদিন ভারতীয় প্রটেক্টরেট থাকা সিকিমের ইতিহাসে এই দিনটি এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। এবার সেই ঐতিহাসিক সংযুক্তির সুবর্ণজয়ন্তীতে সিকিমবাসীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি সংযোগ নিঃসন্দেহে এক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
সিকিম সফরে মোদির বার্তা কতটা কৌশলগত এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে, সেদিকে নজর থাকবে গোটা দেশের।
