COVID-19: প্রায় আড়াই বছর পর ফের কোভিড আতঙ্ক। বাংলার আরও কাছে চলে এল করোনাভাইরাস। প্রতিবেশী ওড়িশায় কোভিডে আক্রান্ত এক ব্যক্তি। ভূবনেশ্বরের বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। যদিও ওই রোগীর একাধিক কো-মরবিডিটি রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আর সেখানেই রয়েছে উদ্বেগের কারণ।
বৃহস্পতিবার ওড়িশা সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সচিব এস অশ্বথি জানান, “কোভিডে আক্রান্ত ওই রোগী বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। তবে কোমরবিডিটির কারণে চিন্তার কারণ থেকে যাচ্ছে। তবে এনিয়ে এখনও কেন্দ্রীয় সরকার বা কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এনসিডিসি কিছুই জানায়নি। কোভিড ১৯-এর ছড়িয়ে পড়া নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি।”
সূত্রের খবর, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে গুটিকয়েক কোভিড রোগী চিহ্নিত হয়েছে। মূলত উপসর্গ হিসেবে হালকা মাথাব্যথা দেখা দিচ্ছে। যদিও রোগের মারণক্ষমতা বর্তমানে একেবারে ক্ষীণ বলেই জানান স্বাস্থ্য সচিব। তিনি আরও বলেন, “এখনই চিন্তা বা প্যানিক করার কোনও কারণ নেই। গোটা পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি। এব্যাপারে কেন্দ্রের নির্দেশিকার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। তা এলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।”
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, শেষ ২০২২ সালে ৮ নভেম্বর ওড়িশায় মোট ২৬ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এদিকে, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেরলের পরিসংখ্যান। চলতি মে মাসে এখনও পর্যন্ত কেরলে ১৮২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কোট্টায়াম, এর্নাকুলাম ও তিরুবনন্তপুরমের মতো জেলাগুলিতে বেশি করে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ।
ইতিমধ্যেই কেরলে মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে প্রশাসন। হাসপাতাল ও জনবহুল স্থানে মাস্কের ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদেরও নির্দেশিকা মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় হংকং ও সিঙ্গাপুরে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়িয়েছে। মারণক্ষমতা তেমন না হলেও সাবধানতার মার নেই, জানান বীণা।