২৩ মে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে BBC বাংলার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। ঢাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (NCP) আহ্বায়ক নিহাদ ইসলাম বলেন, “সকালে শুনলাম স্যার নাকি ইস্তফা দিতে চলেছেন। তাই ওঁর সঙ্গে দেখা করতে গেছি। উনি নিজেই জানালেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও রাজনৈতিক দলই একসঙ্গে আসতে চাইছে না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমার পক্ষে আর কাজ চালানো সম্ভব নয়।”
ইউনুস এই মুহূর্তে প্রবল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে রয়েছেন। SAD (Students Against Discrimination) নামক ছাত্র আন্দলোনের জোড়ালো চাপে গত বছর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় নিতে হয়। সেই সময় সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ না করে নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছিল। শেখ হাসিনার সুরক্ষিত প্রস্থান এবং ইউনুসের অন্তর্বর্তী প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে স্থাপনের পথ প্রশস্ত করেছিল সেই সেনাবাহিনীই। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েকদিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউনুসের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়েছে।
নিহাদ ইসলাম আরও বলেন, আমি স্যারকে বলেছি উনি যেন মন শক্ত করে থাকেন। এই দেশের নিরাপত্তা, ভবিষ্যৎ, আর গণআন্দোলনের যে প্রত্যাশা, তা পূরণ করতে গেলে ওঁর থাকা দরকার। তবে যদি রাজনৈতিক দলগুলোই ভরসা না করে, তাহলে ওঁর থাকা আর না থাকায় কি ফারাক? তিনি বলেন, যে জায়গায় সম্মান আর সহায়তার পরিবেশ নেই, সেখানে থেকে লাভটা কী?
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ গভীর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড়িয়ে। সেনাপ্রধান ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চাই। এর মধ্যেই যদি ইউনুস ইস্তফা দেন, তাহলে ফের দেশে অরাজকতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। SAD আন্দোলনের পর দেশের যে নতুন পথচলা শুরু হয়েছিল, তা কি এভাবেই থেমে যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর এখন গোটা দেশের নজরে।