মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২১ মে, ২০২৫-এ হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ওপর একটি কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখন থেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের আর ভর্তি করাতে পারবে না। এই সিদ্ধান্তের ফলে ৭৮৮ জন ভারতীয় ছাত্রছাত্রী-সহ গোটা বিশ্ব থেকে আসা প্রায় ৬৮০০ পড়ুয়া চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। বাংলার বহু ছাত্র-ছাত্রী, যারা হার্ভার্ডে পড়াশোনার স্বপ্ন নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বা ইতিমধ্যেই অ্যাডমিশন পেয়েছেন, তাঁরাও এই খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
এই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম জানিয়েছেন যে হার্ভার্ড প্রশাসন বিদেশি ছাত্রদের সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি দিতে অস্বীকার করেছে। তাঁর অভিযোগ, হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে ইহুদি ছাত্রদের জন্য নাকি নিরাপদ পরিবেশ নেই, বিশ্ববিদ্যালয়টি হামাসপন্থী বিক্ষোভে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং তথাকথিত “বর্ণবাদী” ডাইভার্সিটি, ইক্যুইটি ও ইনক্লুশন নীতিমালা অনুসরণ করছে। এই কারণেই হার্ভার্ডের উপর এই নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে বলে দাবি ট্রাম্প প্রশাসনের।
হার্ভার্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যারা ইতিমধ্যেই ২০২৫ সালের গ্রীষ্মে ডিগ্রি শেষ করছে, তারা সসম্মানে গ্র্যাজুয়েট হতে পারবে। কিন্তু যারা এখনও পড়াশোনা শেষ করেনি, তাদের বা তো অন্য কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে, নয়তো তারা আমেরিকায় থাকার আইনি অধিকার হারাবে। নতুন করে কেউ হার্ভার্ডে পড়তে যেতে চাইলে, তাদের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনো ভিসা ইস্যু করা হবে না, যতক্ষণ না বিশ্ববিদ্যালয় সরকারকে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য এবং ভিডিও ফুটেজ জমা দেয়।
হার্ভার্ড এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে দাবি করে ইতিমধ্যেই আইনি পথে হেঁটেছে। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বহু পরিবার এখন বড় দুশ্চিন্তায় পড়েছে। বহু পড়ুয়ার কেরিয়ার, স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ এই সিদ্ধান্তে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।