সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
ঘোষণা আগেই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৬ এসএসসি চাকরি বাতিল মামলায় চাকরি-হারা গ্রুপসি গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বজায় রাখার পাশাপাশি মাসিক ভাতার সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। রাজ্য শ্রম দপ্তরের সামাজিক সুরক্ষা স্কিমে চাকরিহারা গ্রুপ সি কর্মীদের মাসিক পঁচিশ হাজার টাকা এবং চাকরিহারা গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসিক কুড়ি হাজার টাকা ভাতা দেবে রাজ্য সরকার। রাজ্য বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে আজ এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। গত পয়লা এপ্রিল থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। ইতিমধ্যেই নবান্নে শ্রম দপ্তরের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে এই ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে এবার শ্রম দপ্তর বাংলার শিক্ষা পোর্টালে সামাজিক সুরক্ষা স্কিমের মাধ্যমে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল ।
বাংলার শিক্ষা পোর্টালে প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী
প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে এই পোর্টালে থাকা বিজ্ঞপ্তি নজরে আনতে হবে।তাদের বিদ্যালয়ে এধরনের কোন চাকরিহারা শিক্ষাকর্মী থাকলে যাতে তারা আবেদন জানাতে পারেন। এই ধরনের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীর নাম দপ্তরের কর্মীদের বেতন তালিকায় থাকবে। প্রধান শিক্ষককে এ ধরনের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে আবেদন যাচাই করে যোগ্য বলে সার্টিফাইড করতে হবে। তারপর জেলার স্কুল বিদ্যালয়ে পরিদর্শকের অফিসে জমা দিতে হবে। জেলা স্কুল পরিদর্শককেও তারপর তা যাচাই করে সার্টিফাই করতে হবে।
জেলায় জেলায় এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর।
যেহেতু এখনো পর্যন্ত এই এসএসসি চাকরি বাতিল মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন সে কারণেই রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে চাকরি হালা গ্রুপ সি গ্রুপ ডি শিক্ষা কর্মীদের বেতন দেওয়া সম্ভব নয় তা আগেই জানিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানবিক কারণে বা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে চাকরিহারা গ্রুপসি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের পরিবারের আর্থিক অনটন ও দুর্দশার কথা মাথায় রেখে এই বিকল্প ভাবনা বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সে কারণে ই রাজ্য শ্রম দপ্তরে যে সামাজিক সুরক্ষা কিম রয়েছে তার অন্তর্ভুক্ত করে এই চাকরিহারা গ্রুপসি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ঠিক সমস্যার সুরাহা করার উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। আজ এই বিকল্প ভাবনা চূড়ান্ত রূপ নিল সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে।