‘মিশন: ইম্পসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এর মুক্তি ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে বিশ্বজুড়ে। তবে সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্যের চেয়েও চর্চার কেন্দ্রে এখন একজনই, তিনি টম ক্রুজ। ৬২ বছর বয়সেও কী ভাবে এমন অ্যাথলেটিক শরীর এবং তারুণ্য ধরে রেখেছেন এই হলিউড অভিনেতা, সেটাই এখন সকলের কৌতূহলের কেন্দ্রে।
‘মেন’স হেলথ’ ম্যাগাজিন জানাচ্ছে, প্রতিদিন মাত্র ১২০০ ক্যালোরির মধ্যে তার খাবার সীমিত রাখেন টম ক্রুজ। তেল, মাখন কিংবা সস বাদ দিয়ে ভাপানো সাদা মাছ ও সবজি তাঁর খাদ্য তালিকার অন্যতম অংশ। তিন বেলা ভারী খাবার নয়, বরং তিনি সারা দিনে খান ১৫টি হালকা জলখাবার। যা তাঁর ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায়।
ক্রুজের খাদ্য তালিকায় থাকে না উচ্চ সুগার বা চিনি যুক্ত কোনও খাবার কিংবা প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং কার্বোহাইড্রেট। ফলের চেয়ে তিনি পছন্দ করেন ক্রিসপিস ও ডার্ক চকলেট, যা তাঁর মতে উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। অভিনেতার খাবার রান্না হয় কম তাপমাত্রায়, যাতে পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।
ক্রুজের প্রতিদিনের খাবারে রয়েছে সুপারফুডের বাহার। স্যালমন, ব্লুবেরি, আদা, বিট, ব্রকোলি, টমেটো, পালং শাক, বাদাম, জলপাই তেল এবং কাঁচা ওটস। এ সব খাবার শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব ফেলে। যা বয়সজনিত রোগ ও ব্যথা কমাতে কাজ করে।
পুষ্টিবিদ মিতুশি আজমেরা জানাচ্ছেন, কার্বোহাইড্রেট কম খেলে শরীর শুরুতে গ্লাইকোজেন খরচ করে, ফলে ওজন দ্রুত কিছুটা কমে যায়। এর পর শরীর প্রবেশ করে কেটোসিস-এ, যেখানে শক্তির উৎস হিসেবে ফ্যাট বার্ন হয়। এতে কখনও মাথাব্যথা, ক্লান্তি বা ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে খিদে কমে যায় ও ইনসুলিনের মাত্রাও স্থিতিশীল থাকে।
তবে, অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট বর্জনের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এবং অন্ত্রের সমস্যা হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই দীর্ঘমেয়াদে ফাইবার সমৃদ্ধ জটিল কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্যই বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই সিনেমার পর্দায় যতই তিনি ‘অসম্ভব মিশন’ সফল করুন না কেন, টম ক্রুজের মতো সুস্থ থাকতে হলে দরকার নিয়মিত ব্যায়াম, সুশৃঙ্খল খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক জীবনযাপন।