খুব দ্রুতই ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে পারে স্টারলিঙ্ক। সম্প্রতি সুরক্ষা সংক্রান্ত বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে সহমত হয়েছে ইলন মাস্কের সংস্থা। আর এরপরেই দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ চিঠি দেওয়া হয়েছে, এমনটাই এক সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। আর এরপরেই মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই ভারতেও স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে পারে। ইতিমধ্যেই প্রতিবেশি বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে শুরু করেছে মাস্কের সংস্থা।
পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৫৫০ কিমি দূরত্বে থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স। বেশ কয়েকমাস ধরেই ভারতের মাটিতেও এই সুবিধা পাওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। মনে করা হচ্ছে, স্পেস এক্স ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে শুরু করলে ভারতের ইন্টারনেট পরিষেবাও ব্যাপক গতি আসবে। স্পেস এক্স ৭,০০০ LEO স্যাটেলাইট ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছে। তবে তা দ্বিগুণ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। যাতে সবচেয়ে দুর্গম এবং চ্যালেঞ্জিং এলাকাতেও ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।
ভারতীয় গ্রাহকদের কত টাকা দিতে হবে?
স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে উচ্ছ্বসিত নতুন প্রজন্ম। আগ্রহ কম। তবে এর খরচ কত হবে সেদিকে বিশেষ নজর রয়েছে। এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পরিস্থিতি, অবস্থানের উপর নির্ভর করবে মাসিক সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান। ওই সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সাবস্ক্রিপশন ফি ৩,০০০ টাকা থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এর পাশাপাশি স্টারলিঙ্ক কিট কিনতে হবে। যেখানে স্যাটেলাইট ডিশ এবং ওয়াই-ফাই রাউটার রয়েছে। আর এই সমস্ত কিনতে ২০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে বলে দাবি ওই সংবাদমাধ্যমের।
ভারতের বর্তমান ইন্টারনেট পরিষেবার তুলনায় অনেক বেশি খরচ সাপেক্ষ এই নতুন পরিষেবা। দেশের মাটিতে গড়ে মাসিক খরচ প্রায় ৫০০ টাকার কাছাকাছি। ফলে ভারতের মাটিতে স্টারলিঙ্ক প্রাথমিকভাবে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করতে পারে। ধীরে ধীরে গ্রামীণ এলাকায় থাকা পরিবারকে টার্গেট করতে পারে। যেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়াটা চ্যালেঞ্জিং।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত ভারতে যুগান্তকারী ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে পারে স্টারলিঙ্ক। বিশেষ করে টেলিমেডিসিন পরিষেবা, অনলাইন এডুকেশন সহ একাধিক সেক্টরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে এই মাস্কের সংস্থার দেওয়া ইন্টারনেট পরিষেবা। তবে এক্ষেত্রে সরকারি ভর্তুকি কিংবা সাহায্য দেওয়ার কথাও উঠে আসছে।
কবে থেকে শুরু হতে পারে পরিষেবা?
পরিষেবা শুরু করার আগে ন্যাশনার স্পেস প্রোমোশনের থেকে অনুমোদন নিতে হলে মাস্কের সংস্থাকে। এছাড়া সরকারের থেকে স্পেকট্রামও নিতে হবে। স্পেকট্রামের দাম কত হবে, তা নিয়ে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি বা TRAI চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা চালাচ্ছে।
সম্প্রতি রিলায়েন্স জিও ও এয়ারটেলের সঙ্গে চুক্তি করেছে স্টারলিঙ্ক। উল্লেখ্য, ভারতের টেলিকম মার্কেটের ৭০ শতাংশই রয়েছে এই দুই সংস্থার হাতে। এছাড়াও পার্টনারশিপের জন্য ভারতের একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথা বলছেন মাস্ক। সূত্রের খবর, শীঘ্রই ভারতে আসবেন ইলন মাস্ক। চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে আসবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।