সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
ভোটের দামামা বাজতেই নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৯ জুন নদিয়ার কালীগঞ্জ সহ দেশের ৫ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আসন্ন উপ নির্বাচন গুলিকে স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে
সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সমস্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ভোটের বুথ এবং সংলগ্ন এলাকার ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশেষ অ্যাডভাইজারি তথা নির্দেশিকার মাধ্যমে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শুধু জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সংস্থানই নয় ২০২৩ সালের হ্যান্ডবুক ফর প্রিজাইডিং অফিসার এবং হ্যান্ডবুক ফর রিটানিং অফিসার এর নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোটের বুথ এবং তার ব্যবস্থাপনা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এই অ্যাডভাইজারি তথা নির্দেশিকা অনুযায়ী সমস্ত সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন আধিকারিক, রিটার্নিং অফিসার, সেক্টর অফিসার, বুথ লেভেল অফিসার এবং অন্যান্য নির্বাচনী আধিকারিকদের মেনে চলতে হবে তাও জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই অ্যাডভাইজারিতে জানানো হয়েছে যে ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১৩০ নম্বর ধারা অনুযায়ী ভোটের বুথ বা ভোট কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোন রাজনৈতিক দল বা তার কর্মী সমর্থকরা কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রচার বা ইঙ্গিতপূর্ণ কোন কাজ যাতে না করতে পারে তা সতর্কভাবে নজর রাখতে হবে। এমনকি সাধারণ ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন এমন কোন নির্বাচন সংক্রান্ত সাংকেতিক চিহ্ন ভোটের বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে যেন না থাকে সে ব্যাপারে নির্বাচনী আধিকারিকদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়া ভোটারদের সাহায্যের জন্য যে অস্থায়ী রাজনৈতিক বুথ বা ক্যাম্প করা হয় তা অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের বিধি মেনে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বের বাইরে থাকতে হবে। একটি টেবিল এবং দুটি চেয়ারের বেশি অন্য কোন সামগ্রী ব্যবহার করা যাবে না। অস্থায়ী রাজনৈতিক বুথ বা ক্যাম্প তৈরির জন্য ছাউনি হিসেবে শুধুমাত্র ছাতা বা সাধারণ সামিয়ানা খাটানো যেতে পারে। প্রতিটি অস্থায়ী রাজনৈতিক বুথ বা ক্যাম্প আয়তনে দশ ফুট বাই দশ ফুটের হতে হবে। শুধুমাত্র সরকারি নোটিশ ছাড়া ভোট গ্রহণ কেন্দ্র বা সংলগ্ন বিধিবদ্ধ এলাকায় কোন ধরনের নোটিশ বা ইঙ্গিতপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি টাঙানো যাবে না। কমিশনের নির্দেশিকা অমান্য করা হলে সরকারি নির্বাচন কর্মী বা রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী যেই হোন না কেন নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে নির্বাচনী বিধিতে উপযুক্ত শাস্তি এবং জরিমানার সংস্থান রয়েছে বলেও জানানো হয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।