নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা। কেরল, দিল্লি, মহারাষ্ট্র সহ দেশের একাধিক রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ উপরের দিকে। বাংলাতেও আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনার নয়া ভেরিয়েন্ট। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, নতুন করে আরও বেশ কয়েকজনের শরীরে করোনার ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১। যদিও চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত সপ্তাহে করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৭। নতুন করে আরও চারজনের শরীরের সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বাংলায় মোট ১১ জন করোনায় আক্রান্ত বলে খবর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, সবারই RT-PCR পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। শুধু তাই নয়, বেশির ভাগের শরীরেই করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট নমুনা পাওয়া গিয়েছে।
আক্রান্তরা সবাই রাজ্যের একাধিক সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে একটা আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও আতঙ্কের কিছু নেই বলেই জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। আমরা প্রস্তুত আছি। তবে সাধারণ মানুষকেও সাবধান থাকার বার্তা দেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।
অন্যদিকে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও করোনার গ্রাফ উপরের দিকে। আজ সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দেওয়া তথ্য অনুসারে, এই মুহূর্তে দেশে করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৯। দেশের মধ্যে কেরলে সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সে রাজ্যে ৪০০ এরও বেশি। এর মধ্যেই আছে মহারাষ্ট্র। সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০৯। দিল্লি, গুজরাতে যথাক্রমে ১০৪ জন এবং ৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আর এভাবে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির হার রীতিমত উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে।
তবে আতঙ্কিত না হয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের। মাস্ক পড়ার উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ঘিঞ্জি এলাকা এড়িয়ে যাওয়ারও বার্তা চিকিৎসকদের। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত বেড, অক্সিজেন ভ্যাকসিন তৈরি রাখার উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন।