গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হামাস। ট্রাম্পের পাঠানো বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবে সমর্থন হামাসের। সোমবার সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছেন হামাস ঘনিষ্ঠ প্যালেস্তাইনের এক আধিকারিক। যার জেরে ফের একবার যুদ্ধে ইতি টানার উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হল গাজায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকের নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ১০ জন পণবন্দিকে জীবিত অবস্থায় মুক্তি দেবে হামাস। পাশাপাশি ৭০ দিনের জন্য কোনও প্রকার সংঘর্ষ করা যাবে না। একইসঙ্গে ওই ৭০ দিন গাজা সীমান্ত থেকে আংশিকভাবে হঠতে হবে হামাস গোষ্ঠীকে। মধ্যস্থতাকারীদের মারফত এমনই বার্তা হামাসের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
অপরদিকে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের শর্ত মেনে কারাবন্দি প্যালেস্তাইনিদের মুক্তি দেবে ইজরায়েলও। এদের মধ্যে প্রায় একশো জন দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি। যদিও ইজরায়েলের তরফে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া এসে পৌঁছয়নি। তবে সপ্তাহখানেক আগেই পুরোপুরি গাজা দখলের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল ইজরায়েল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে সেনাও পাঠায় ইজরায়েল।
টেলিগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “সংঘর্ষ আরও তীব্রতর হয়েছে। আমরাও ধীরে ধীরে এগোচ্ছি। গাজা সীমান্তের সমস্ত এলাকার দখল নেবে ইজরায়েল। আমরা হাল ছেড়ে দেব না। তবে এই যুদ্ধে জয়ী হতে গেলে, আমাদের এই লড়াই থামালে চলবে না।”
গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হয় ইজরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ। গাজা স্ট্রিপ থেকে ইজরায়েলের উপর হামলা চালায় হামাস। তবে হামাসের সঙ্গে মধ্যস্থতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর নাকি কাতারের তরফে করা হয়েছে, সেসম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি প্যালেস্তাইনের তরফে। এর আগে গত মার্চ মাসে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে গিয়েছিল। ১৮ মার্চ গাজায় ফের হামলা চালাতে শুরু করেছিল ইজরায়েল।
