বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের কুকীর্তি তুলে ধরতে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি দিচ্ছে ভারতের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল। তেমন একটি দলে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই সফরে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে বিশ্বের সামনে একদিকে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে ধরছেন, অন্য দিকে, ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত স্থানগুলিও পরিদর্শন করছেন তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’। তেমনই মঙ্গলবার কোরিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে নেমেই সেখানকার রামকৃষ্ণ মিশনে ছুটে যান তিনি।
সেখানে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, সারদা দেবী এবং স্বামী বিবেকানন্দের ছবিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। একই সঙ্গে সন্ন্যাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন। বেশ কিছুক্ষণ মিশনে সময় কাটিয়ে ফেরেন। তৃণমূলের তরফে সেই ভিডিও অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করা হয়েছে। আর তা শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘তিনি বুঝিয়ে দিলেন আমাদের শান্তির জন্য যে লড়াই, সেই পথে এগিয়ে নিয়ে যায় আধ্যাত্মিকতা’।
বলে রাখা প্রয়োজন, শুধু পাকিস্তানের মুখোশ খোলাই নয়, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করতে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য হয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর-সহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন অভিষেক। টোকিওতে তামা সমাধিস্থলে স্বাধীনতা সংগ্রামী রাসবিহারী বসুর সমাধি। সেখানে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বেশ কিছুক্ষণ সময়ও কাটান সেখানে। যদিও সমাধির পরিস্থিতি দেখে মন খারাপ হয় তাঁর। বিষয়টি দেখার জন্য ভারতীয় দূতাবাসকে অনুরোধ করেন। যা খবর, সাংসদের আবেদনের পরেই দূতাবাসের আধিকারিকরা রাসবিহারী বসুর সমাধিস্থল পরিদর্শন করেন। প্রয়াত প্রাক্তন বিচারপতি রাধাবিনোদ পালের স্মৃতিস্তম্ভেও শুক্রবার শ্রদ্ধা জানাতে যান।
অন্য দিকে, বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে তাঁর যুক্তি দিয়ে সাজানো সুললিত এবং তথ্যনিষ্ঠ বক্তব্য সাড়া ফেলে দিয়েছে। সন্ত্রাস এবং আলোচনা যে একসঙ্গে চলতে পারে না, তা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে।
বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে যে ভাবে কবিগুরুর কবিতাকে হাতিয়ার করে অভিষেক বক্তব্য রেখেছেন তা প্রশংসা কুড়িয়েছে। সে দেশের প্রতিনিধিদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক কবিগুরুর ‘দ্য ল্যাম্প অফ দ্য ইস্ট’ কবিতা কী ভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তা তুলে ধরেন। এখনও সে দেশের পাঠ্যবইতে রয়েছে এই কবিতা। আর তা তুলে ধরে একদিকে ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক তুলে ধরেন। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় দু’দেশের সহাবস্থানের কথাও তুলে ধরেন অভিষেক।