রাজনীতির আঙিনায় ফের নিজের শক্তি প্রদর্শন করলেন ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। প্রাক্তন কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ও প্রাক্তন সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ রাজনীতির বিতর্কিত ও আলোচিত মুখ। দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট থেকে পকসো আইনের অধীন মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই জাঁকজমকপূর্ণ বিজয় যাত্রার মধ্য দিয়ে অযোধ্যায় পৌঁছালেন তিনি।
মহার্ষি বাল্মীকি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ব্রিজভূষণের বিমান অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে বাদ্যযন্ত্র, ফুলবৃষ্টি আর শঙ্খধ্বনিতে তাঁকে রাজকীয়ভাবে স্বাগত জানানো হয়। এখান থেকেই শুরু হয়েছিল সেই বহু প্রতীক্ষিত ‘বিজয় যাত্রা’। প্রায় ৬০-টিরও বেশি গাড়ি নিয়ে বিশাল কনভয় অযোধ্যার রাজপথে নেমে। তাতে অংশ নিলেন হাজারেরও বেশি সমর্থক। লাল-হলুদ পতাকা হাতে ‘ব্রিজভূষণ জিন্দাবাদ’ এবং ‘সত্যের জয় হয়েছে’ স্লোগানে মুখর অযোধ্যা।
অযোধ্যায় পা রেখে ব্রিজভূষণ প্রথমেই যান হনুমানগড়ী মন্দিরে। সেখানেই তিনি পূজা দেন ও আর্শীবাদ নেন বজরংবলীর। মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, “এটা ন্যায়ের জয়। আমার প্রতি যে ভালোবাসা ও আস্থা জনগণ দেখিয়েছেন, আমি তাঁদের চিরকৃতজ্ঞ।”
ব্রিজভূষণের ছেলে ও উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক প্রতীক ভূষণ সিংহ এদিন এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন,”সত্যের বিজয়”! একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া মামলায় আমরা জয় পেয়েছি। সমস্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ এখন আইনের দরবারে ভেঙে পড়ছে। এটি সত্যের জয় এবং এই জয় আগামীতেও বজায় থাকবে।”
প্রসঙ্গত, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন মহিলা কুস্তিগিরদের একাংশ। তাঁদের মধ্যে এক জন অভিযোগকারী ছিলেন নাবালিকা। এই পকসো আইনের মামলাতেই এখন তাঁকে সবচেয়ে বড় আইনি ছাড় দিয়েছে আদালত। অভিযোগকারী তাঁর অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর দিল্লি পুলিশ ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করে।
তবে এখানেই শেষ নয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় এখনও পাঁচ জন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা কুস্তিগিরের অভিযোগের ভিত্তিতে চার্জ গঠিত হয়েছে। এই মামলা বর্তমানে দিল্লি হাইকোর্টে বিচারাধীন। সেখানে চার্জশিট ও ট্রায়াল কোর্টের কার্যবিধিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন ব্রিজভূষণ। তবে এদিন অযোধ্যার রাজপথে “বিজয় যাত্রা” করে ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ ফের একবার নিজেকে রাজনীতির ময়দানে ‘প্রভাবশালী খেলোয়াড়’ হিসেবে প্রমাণ করতে চাইলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
