ওড়িশার ভুবনেশ্বরে সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাটে ভিজিল্যান্স দফতরের অভিযানে বেরোল কোটি কোটি টাকা! ঘরময় থরে থরে সাজানো শুধু ৫০০ টাকার নোটর বান্ডিল।
যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ আধিকারিকদেরও। ভিজিল্যান্স আসছে জেনেই বাঁচতে ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে ৫০০ টাকার বান্ডিল বাইরে ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলছিলেন ওই সরকারি ইঞ্জিনিয়ার! অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বৈকুণ্ঠনাথ সারঙ্গী। পেশায় তিনি চিফ ইঞ্জিনিয়ার।
ভিজিল্যান্স দফতর সূত্রে জানা গেছে, বৈকুণ্ঠনাথের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগ ওঠার পর একসঙ্গে তাঁর সাতটি সম্পত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযান চলে অঙ্গুল, ভুবনেশ্বর ও পুরীর বিভিন্ন এলাকায়। অভিযানে অংশ নেন ২৬ জন পুলিশ অফিসারের দল। ওই দলে ছিলেন, ৮ জন ডিএসপি, ১২ জন ইন্সপেক্টর এবং ৬ জন এএসআই।
এ দিন তল্লাশি চালানো হয়েছে অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারের করাডাগাড়িয়ার বাড়ি, ভুবনেশ্বরের দমদুমা এলাকার ফ্ল্যাট, পুরীর ফ্ল্যাট, অঙ্গুলে আত্মীয়ের বাড়ি, পৈতৃক বাড়ি ও পৈতৃক ভবন এবং তাঁর অফিসে। কিন্তু সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে ভুবনেশ্বরের ফ্ল্যাটে যখন ভিজিল্যান্স দফতরের অফিসাররা পৌঁছান। ভিজিল্যান্স অফিসারদের দেখেই আতঙ্কে টাকার বান্ডিল জানলা দিয়ে বাইরে ছুঁড়তে শুরু করেন বৈকুণ্ঠনাথ। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তা উদ্ধার করে পুলিশ।
ভিজিল্যান্স দফতর সূত্রে খবর, তল্লাশিতে অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারের অঙ্গুলের বাড়ি থেকে ১.১ কোটি টাকা এবং ভুবনেশ্বরের ফ্ল্যাট থেকে ১ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। মূলত ৫০০ টাকার বান্ডিলের সঙ্গে কিছু ২০০ টাকার নোট, ১০০ এবং ৫০ টাকার নোটও ছিল। যদিও ঠিক কত টাকা বাজেয়াপ্ত হল তা এখনও জানা যায়নি। কারণ এখনও চলছে টাকা গোনার কাজ।