দুর্নীতির খবর করায় হেনস্থার অভিযোগ। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা এক সাংবাদিক ও তার স্ত্রীয়ের। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের বারখেড়া নগর পঞ্চায়েত। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে বিচার চেয়ে ভিডিও অন রেখেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ওই দম্পতি। দু’জনকেই উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাংবাদিকের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তাঁর স্ত্রী সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ভাইরাল হয়ে গিয়েছে আত্মহত্য়ার চেষ্টার সেই ভিডিও। তাতে তিনজনের নামও নিয়েছেন ওই দম্পতি। মহকুমাশাসক, নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান ও এক কন্ট্র্যাক্টরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি বৃহস্পতিবারের। দম্পতির দাবি, বারখেড়া নগর পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে খবর করেছিলেন তারা। সেই খবর খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছে গিয়েছিল বলে দাবি। তারপর থেকেই হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
নগর পঞ্চায়েতের দুর্নীতিতে বিশালপুরের এসডিএম নগেন্দ্র পান্ডে, বারখেড়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান শ্যাম বিহারী ভজওয়াল ও কনট্র্যাক্টর মঈন হুসেন ওই দুর্নীতিতে জড়িত বলে রিপোর্টে তুলে ধরেন অভিযোগকারী সাংবাদিক। খবর প্রকাশ হওয়ার পরেই তাঁকে ও পরিবারকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ভাইরাল হওয়া ওই ফুটেজে সাংবাদিককে বলতে শোনা যায়, “আমরা বিষ খেয়ে জীবন শেষ করে দিচ্ছি। যোগীজি, বিচার চাই।”
যদিও সাংবাদিকের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন এসডিএম। ম্যাজিস্ট্রেট নগেন্দ্র পাণ্ডের দাবি, গোটা অভিযোগই ভিত্তিহীন। এনিয়ে বারখেড়া পুলিশকে খতিয়ে তদন্তের নির্দেশও দেন তিনি। সাংবাদিকের দাবি উড়িয়ে ম্যাজিস্ট্রেট বললেন, এরকম কোনও ইস্যুই হয়নি। একইভাবে মিউনিসিপ্যালিটি চেয়ারম্যানের দাবি, অভিযোগ শুনেছি, তবে তার সঙ্গে কোনও লেনদেন নেই। কন্ট্র্যাক্টরের সঙ্গে কোনও ঝামেলা হতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে, কন্ট্র্যাক্টর পাল্টা সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন। ওই সাংবাদিক হুমকি দিয়ে ১৫ হাজার টাকা তোলা চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ কন্ট্র্যাক্টরের। তা না দেওয়া হলে নেতিবাচক খবর করার হুমকি দিয়েছিলেন বলে দাবি কন্ট্র্যাক্টরের। অকথ্য গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশকে FIR রুজু করে ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকের পরিবার। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান বিশালপুর সার্কেল অফিসার প্রতীক দাহিয়া।
