সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
মোদি-মমতার টক্করের মাঝেই রাজ্যের জন্য সুখবর। জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের জন্য রাজ্য সরকারকে দেওয়া হল চলতি অর্থবর্ষের প্রথম কিস্তির বরাদ্দ ও বকেয়া মিলিয়ে মোট ৩৯১ কোটি টাকা। গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গঠন সহ একাধিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ব্যবহার করা হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া শর্ত মেনে নেওয়ায় দীর্ঘ ২ বছর পর জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের বরাদ্দ পেল নবান্ন। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিবের তরফে আগেই রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে এই অর্থ বরাদ্দের কথা জানিয়েছিলেন।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দুটি শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। প্রথমত সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির নামে চিহ্নিত করা এবং সেগুলিকে নির্দিষ্ট রং করা। রাজ্যের তরফে ওই শর্ত আংশিক মেনে নিয়ে সম্প্রতি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে আয়ুষ্মান আরোগ্য কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকার সেই শর্ত মেনে নিয়েছে।
তারপরেই রাজ্যের গ্রামীন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিকাঠামো ও মান উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের বরাত জুটল বাংলার ভাগ্যে।
প্রসঙ্গত, গত দুবছর ধরে গ্রামীণ বাংলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেতে কেন্দ্রের কাছে একাধিকবার দরবার করা হয়েছে। যদিও রাজ্যের ডাকে কেন্দ্রের সাড়া মেলেনি। বরং হিন্দির শর্ত না মানলে রাজ্যকে বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। পক্ষান্তরে বারংবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে নবান্নকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যদিও কাজের কাজ কিছু না হয় অবশেষে কেন্দ্রের শর্ত আংশিকভাবে মেনে নেওয়ার কথা জানায় রাজ্য। এর পরেই রাজ্যের গ্রামীণ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা পেল নবান্ন ।
