গত বছর ‘মুখ্যমন্ত্রী লড়কি বহিন’ যোজনা ঘোষণা করে মহারাষ্ট্র সরকার। বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতোই সে রাজ্যের মহিলারা এই যোজনার মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন। আর সেখানেই সর্ষের মধ্যেই ভূত! দেখা যাচ্ছে এই যোজনার লাভ পেতে যত আবেদন জমা পড়েছে তাতে ২০০০ এরও বেশি সরকারি কর্মচারী। যারা এই যোজনার লাভ পাচ্ছেন। আর এই তথ্য জানিয়ছেন খোদ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী অদিতি তাতকারে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন অদিতি। যেখানে তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী লাড়কি বহিন যোজনার ২,২০০ জনেরও বেশি সুবিধাভোগী সরকারি কর্মচারী। এই যোজনার সুবিধা পাওয়ার জন্য জমা পড়া ২ লাখ আবেদন খতিয়ে দেখা হয়। আর এরপরেই এহেন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। যদিও এই যোজনার লাভ পাওয়ার কথা নয় সরকারি কর্মচারীদের। আর এই তথ্য সামনে আসার পরেই মন্ত্রীর ঘোষণা, এরপর নিয়মিত ভাবে সুবিধাভোগীদের তথ্য যাচাই করা হবে।
বিজেপি শাসিত সরকারের এহেন তথ্য সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। কড়া ভাষায় এর সমালোচনা করেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশকে আক্রমণ শানানো হয়েছে। দলের অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে, ‘আপনারা ৬০ লক্ষ মহিলাকে বাদ দিলেন ‘লড়কি বহেন যোজনা’ থেকে, অথচ ২,২০০-র বেশি সরকারি কর্মচারী সেই গরিবদের জন্য বরাদ্দ সুবিধা পাচ্ছিলেন? দেবেন্দ্র ফড়ণবীসজি , আপনি বাংলার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ অনুকরণ করতে চাইলেন, অথচ সততা, সুষ্ঠু যাচাইকরণ আর কার্যকরী সুশাসনের বিষয়টা বাদ দিয়ে দিলেন। চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা’
বলে রাখা প্রয়োজন, গত বছর ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘মুখ্যমন্ত্রী লড়কি বহিন’ যোজনা শুরু হয়। আর এই যোজনার মাধ্যমে ২১-৬৫ বছর বয়সের মহিলাদের প্রতি মাসে ১,৫০০ টাকা দেওয়া হয়। এই যোজনার লাভ সরকারি বিভাগে কর্মরত মহিলারা পাবেন না, এটা স্পষ্ট ভাবে জানানো রয়েছে। এরপরেও কীভাবে সুবিধাভোগীদের তালিকায় সরকারি কর্মচারীরা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী অদিতি তাতকারে জানিয়েছেন, প্রায় দু’লাখ আবেদন যাচাই করা হয়। যেখানে ২,২৮৯ জন সরকারি কর্মচারীকে এই যোজনার সুবিধাভোগী হিসাবে পাওয়া গিয়েছে। আর তা সামনে আসার পরেই এই সমস্ত সুবিধাভোগীদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন মন্ত্রী।
